সম্প্রতি দেশের গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস মেয়ে মনিকা ইউনূসের। ড. মোহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার বাবা ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে কথা বলেছেন যেখানে তিনি বাবা। ইউনূস ও তার সহকর্মীরা নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর আলোচনায় আসেন ইউনূসের মেয়ে মনিকা। যিনি ইউনূসের বড় মেয়ে।
কিন্তু অনেকেই হয়তো তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। অবশ্য এর কারণও আছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের মেয়ে মনিকা ইউনুস তার বাবার নোবেল জয়ের পর নয়, নিজের নাম ও অবস্থানে নিজেকে বিখ্যাত করে তুলেছেন।
তিনি একজন আমেরিকান সোপ্রানো যিনি বিখ্যাত নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটন অপেরা সহ বিভিন্ন অপেরা এবং বাদ্যযন্ত্রের সাথে পারফর্ম করেছেন।
মার্কিন দৈনিক পত্রিকা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, চার্লসটন সিটি পেপার এবং পাম বিচ ডেইলি নিউজ মনিকার কণ্ঠের প্রশংসা করেছে।
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের কন্যা মনিকা ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি তার মা ভেরা ফরোস্টেনকোর কাছে যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়েছেন।
মনিকার মা ভেরা ফরস্টেনকো রাশিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাস করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা হয় এবং ১৯৭০ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু মনিকার জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যায়। পরে মনিকার মা তার মেয়েকে নিয়ে আমেরিকা চলে যান। সেখানে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরপর থেকে ড. ইউনুস তার মেয়ের সাথে খুব একটা যোগাযোগ করেননি।
১৩ বছর বয়সে, মনিকা ম্যাসাচুসেটসের বিখ্যাত ট্যাঙ্গলউড মিউজিক সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি পেশাদার অপেরা গায়ক হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৯৭ সালে, নামকরা লরেন্সভিল স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর, তিনি জুলিয়ার্ড স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি কণ্ঠে গ্রাজুয়েশন করেন।
ছোটবেলা থেকে বাবাকে না দেখলেও ২০০৪ সালে ইউনুসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মনিকা। বাবার সঙ্গে দেখা করতে ২০০৫ সালে বাংলাদেশে আসেন।
জানা যায়, মনিকা আরেক অপেরা গায়ক ব্র্যান্ডন রেনল্ডসকে বিয়ে করেছিলেন।
চ্যানেল ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনিকা বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন, তা হলো দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করা। তবে তার ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বলা রাখা ভালো, অভিযোগ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা হলেও ফৌজদারি মামলা হয়েছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমার বাবা ও তার সহকর্মীরা কোনো অপরাধ করেননি।’
ব্রিটিশ সাংবাদিক ম্যাট ফ্রে মামলার বিষয়ে মনিকা ইউনূসকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন।