Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমাকে ভোট না দিলে মারি পাকিস্তান পাঠাইয়া দিবো: চেয়ারম্যান প্রার্থী

আমাকে ভোট না দিলে মারি পাকিস্তান পাঠাইয়া দিবো: চেয়ারম্যান প্রার্থী

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলাধীন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মো. হোসেন রানা যিনি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাগোর নিকট আমার আন্তরিক অনুরোধ, আপনাগোর ভোটের অধিকার কেবল আপনাদের, আপনাদের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে আপনাগোর ভোট আমারে (আমাকে) দেবেন। আপনেরা যদি আমাকে ভোট না দেন, তাইলে আমারে মা’রি পাকিস্তানে পাঠাইবো। আমাকে আপনারা যদি রাইখতে চাইন তাইলে অনুরোধ করবো, আপনাগো ভোট দিয়ে আমার এলাকায় রাখে দেবেন। ‘

আজ (শনিবার) অর্থাৎ ২০ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামে এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। হোসেন রানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। তিনি বি’দ্রো/হী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন।

হোসেন রানা আরও বলেন, ‘এখন আর ভোট কাটার সুযোগ নেই। ভোট হবে ইভিএমে। আপনাদের অনেকেই বলবে, কেন্দ্রে যাইয়েন না। আপনারা কেন্দ্রে যাবেন। স্বচ্ছভাবে হাসিখুশিভাবে আপনারা ভোট দিবেন।’

বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে হোসেন রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহেল পাটোয়ারী আমাকে হুমকি দিয়েছেন, ভোটে না জিতলে আমাকে মে’/রে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবেন। আমি সেটি জনগণের কাছে উপস্থাপন করেছি। সেখানে গণসংযোগকালে সোহেলের লোকজন আমাদের ওপর হা’/ম’লা করে। এতে সাংবাদিকসহ তিনজন আ’হ/ত হয়েছেন।’

‘আপনারা ভোট না দিলে আমারে মারি পাকিস্তান পাঠাই দেবে’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী সোহেল পাটোয়ারী বলেন, ‘রানাকে মা’রধ/র কিংবা পাকিস্তান পাঠানোর ব্যাপারে কখনোই কিছু বলা হয়নি। এটি তিনি নিজ থেকেই বলে উত্তে’জনা ছড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সময় মানুষকে তিনি (রানা) গালম’ন্দ করেছেন। এজন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি বা’গবিত’ণ্ডায় জড়িয়েছেন।’

আসছে ২৮ নভেম্বর নোয়াগাঁওসহ রামগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নে সোহেল পাটোয়ারী ও হোসেন রানা ছাড়াও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।

আবু তাহের যিনি রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন নির্বাচনী প্রচারণা করার কোনো নিয়ম নেই যেটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। তবে হোসেন রানা যে প্রচারনা শুরু করেছেন সেটা আমাকে কেউ জানায়নি। তাকে (রানা) নৌকার প্রার্থী যে হু’মকি দিচ্ছে সেটা সম্পর্কেও আমাকে জানাননি। যদি কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে থাকে তাহলে এর বিরুদ্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আচরণ বিধি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অবশ্যই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা’হি’/নীর সক্রিয়তা কাম্য।

 

 

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *