Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল সেই শিক্ষক-শিক্ষিকার অসামাজিক কাজ

দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল সেই শিক্ষক-শিক্ষিকার অসামাজিক কাজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও একই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা আসমা খাতুনকে অনৈতিক কাজের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাশেম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাশেম মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

জানাজা চলাকালীন ১৫ জানুয়ারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও শিক্ষিকা আসমা খাতুনের মধ্যে অশ্লীল ফেসবুক মেসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। মেসেঞ্জারের অশ্লীল আড্ডার বিষয়টি সামনে আসার পর বোঝা যায়, শিক্ষক আমিরুল ও শিক্ষিকা আসমার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম-ভালোবাসা ও পরকীয়া চলে আসছে। তাদের মোবাইল চ্যাটগুলিও দেখায় যে তারা একে অপরের উপরের দেহগুলি দেখে। আর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে শারীরিক চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনাও করেন তারা।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক ভালো বুঝি না। কেউ আমার আইডি হ্যাক করেছে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এটা করেছে।

এদিকে তাদের অশ্লীল চ্যাটিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর স্কুলের ছেলে-মেয়ে ও জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার সকালে অবিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুলে এসে ঐ শিক্ষক ও শিক্ষীকাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত ও চাকুরী থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির উপরে চাপ প্রয়োগ করে।পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।প্রশাসনের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে তোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাশিম মিয়া বলেন, ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।তবে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা,এমন প্রশ্নের কোনো জবাব তিনি দেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী বলেন,এলাকার সামজিক কোন্দল থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। আসমা খাতুন ধর্মীয় শিক্ষক, সে এমন কাজ করতে পারে বলে আমার মনে হয়না।সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।সামনে সপ্তাহে স্কুলে গিয়ে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।

About Rasel Khalifa

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *