Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নিজেকে বিধবা দাবি আলোচিত সেই ডা. সাবরিনার, কি ঘটেছে তার স্বামী আরিফের সঙ্গে

নিজেকে বিধবা দাবি আলোচিত সেই ডা. সাবরিনার, কি ঘটেছে তার স্বামী আরিফের সঙ্গে

দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর কয়েক মাস আগে মুক্তি পান জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

ক”রো”না’ভা’ই”রা’সে’র নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় ১১ বছরের কা’রা’দণ্ড পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

নিম্ন আদালতে সাজা হলেও তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেল জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডাঃ সাবরিনা জানান, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে তার বাবা-মা ছাড়া তাকে ভরণপোষণ করার মতো কেউ ছিল না।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমার সঙ্গে কেউ দেখা করেনি। সেখানে শুধু বাবা-মা ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে বিশেষ কেউ নেই। তারা সব বিপদে পাশে থাকে।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, ‘আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।’

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, ‘আমাকে কারাগারে সবাই চিনত। আমি তখন খুব ভাইরাল ছিলাম। সবাই জানত ডাঃ সাবরিনা তাদের সাথেই থাকছেন।

About Rasel Khalifa

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *