শেষ সময়ে আপিল প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলাবামার একটি জেলে কেনেথ ইউগিনি স্মিথের ওপর এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা। এই মৃত্যুদণ্ডকে নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে এবং নিম্ন আপিল আদালতে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। তাতে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে স্মিথের শরীরে ১৫ মিনিট যাবত নাইট্রোজেন গ্যাস পাম্প করা হবে। তিনি ১৯৮৯ সালে তার স্ত্রী ও ধর্মপ্রচারক ইলিজাবেথ সেনেট’কে হত্যা করেন। এ অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৫৮ বছর বয়সী স্মিথের বিরুদ্ধে। ফলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আজ বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা।
অনলাইন বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের মতে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয় সারা বিশ্বে এই প্রথম এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্মিথের আইনজীবীরা বুধবার রাতে বলেছেন যে তারা শেষবারের মতো আবার আপিল করবেন। সেই আপিল সুপ্রিম কোর্টে করা হয়। কিন্তু সেই আপিলও খারিজ হয়ে যায়। স্মিথ এই সপ্তাহের শুরুতে লিখিতভাবে বলেছিলেন যে এর পরিণতি নির্যাতন। দুই বছর আগে তাকে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে বিচার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারণ ফাঁসি কার্যকরের সময় তার ধমনী খুঁজে পেতে মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে।
১৯৮৮ সালের ১৮ই মার্চ এক হাজার ডলারে একজন খুনিকে ভাড়া করেছিলেন স্মিথ। তাকেসহ স্মিথকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।