হেদার হেয়ার, একজন ৩৩ বছর বয়সী শিক্ষিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলের এক ছাত্রের সঙ্গে যৌ*ন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। আরকানসাস রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সূত্র থেকে জানা যায়, ওই শিক্ষিকা ৩০ বার ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌ*ন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে যে, এই অপরাধের জন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
২০২০সালে হিদার প্রথম শিরোনাম হয়েছিল। করোনা মহামারীর কারণে অনলাইন ক্লাসও বাতিল করা হয়েছিল। একটি টেলিভিশন প্রোগ্রামে তার ছাত্ররা বিদায় জানায় তাকে। এক পর্যায়ে ১৭ বছর বয়সী একটি বালিকা তার ওপর চালানো অত্যাচার সম্পর্কে মুখ খোলে। এর ফলে ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষিকা হিদারকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়। ২০২১ সালে ব্রায়ান্ট হাই স্কুলে সংক্ষেপে ‘জেআর’ নাম দিয়ে প্রকাশ করা ছাত্র যোগ দেয়।
সেখানে তিনি হিদারের সাথে দেখা করেন। এক পর্যায়ে, হিদার তার সাথে একের পর এক কাউন্সেলিং শুরু করেন। তিনি ছেলেটিকে তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দেন। বেশিরভাগই তারা ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে কথা বলে থাকে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জন রে আদালতে বলেছেন যে হিথার সাক্ষ্য দিয়েছেন যে একসময় তিনি জেআরকে জানান- তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এই সময়ে তারা ২০ থেকে ৩০ বার যৌ*ন মিলন করে। এর বেশির ভাগই ঘটেছে শিক্ষিকার কনওয়ের বাড়িতে, তার গাড়িতে, শ্রেণিকক্ষে এবং স্কুলের পার্কিং এলাকায়। ২০২২ সালে তারা এক ফিল্ড সফরে বের হন। এ সময় হোটেল রুমে অবস্থান করেন তারা। তখন জেআর-এর হোটেল কক্ষে গিয়ে মিলিত হন হিদার। সেখানে তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এ প্রসঙ্গে আদালত হিদারের কাছে জানতে চায়, অভিযোগের সত্যতা কি? জবাবে হিদার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার বিরুদ্ধে ১৩ বছরের জেল আবেদন করা হয়েছে। তবে এই শাস্তি অনুমোদন করেছেন কিনা আদালত তা জানায় নি। যদি ১৩ বছর সাজা দেয়া হয়, তাহলে তা যাবজ্জীবন সাজা হিসেবে গণ্য হবে।