Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তবে কি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জামায়াত, যা জানা গেল

তবে কি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জামায়াত, যা জানা গেল

বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে আসছে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামায়াত। এমনকি নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচির অগ্রভাগে ছিল এই দলটি।

আসন্ন উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ অবস্থায় জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে।

নিবন্ধন বাতিলের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী একটি প্রতীকহীন দল। একটি সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে ময়মনসিংহ সিটিতে কয়েকটি কাউন্সিলর পদে ভোট করতে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, “এটি একটি স্থানীয় নির্বাচন। এতে তৃণমূল জড়িত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সামনে একটি মিটিং আছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়াও, যেহেতু আমরা জাতীয় নির্বাচনে যায়নি, অন্য অনেক দলও যায়নি।তাদের সঙ্গেও আলোচনার বিষয় আছে।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও মহাজোটের চরম পরাজয় ঘটেছে। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে দলটি। তবে তারা এই সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে ২০২১ সালের মার্চ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। তবে তৃণমূলের অনেকেই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছিল বিএনপি।

স্থানীয় সরকারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোটের বিধান রয়েছে। আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কমিশন এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করতে চায়।

এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকেই নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না। দলটির নেতারা তাদের পছন্দ মতো স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারবেন। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও সমমনা দলগুলোর অনেকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেতে আগ্রহী।

About Babu

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *