দেশজুড়ে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে চলেছে নানা অনকাঙ্খিত ঘটনা। এর আগে আচরণবিধি ভেঙে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করায় সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। আর এবার ইউপি নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়াও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেনকে আগামী শনিবারের (২০ নভেম্বর) মধ্যে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর ) এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ওই নির্দেশে বলা হয়, যেহেতু আপনি বিধি বহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, তাই আপনাকে ২০ নভেম্বর (শনিবার) মধ্যে ১৬৬ কিশোরগঞ্জ-৫ এর আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা (নিকলী উপজেলা) ত্যাগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
ইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আপনার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ এর আওতাধীন নিকলী উপজেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে একজন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ২২ বিধিতে নিম্নরূপ বিধান মতে- ‘সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ রয়েছে।’
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন বা পূর্ব সময়ে ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
নির্বাচন ও পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবে না বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নিজ এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়েও নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে এই সুযোগে যেন কেউ দুর্নীতি-অনিয়ম করতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।