টানা ৩ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। এই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নিজ দলের বেহস কিছু নেতাকর্মী প্রায় সময় নানা ধরনের অপরাদধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এবং পদ-পদবি নিয়ে নানা ধরনের তর্ক-বির্তকে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি অনিয়মের জের ধর বেশ সোচ্চার হয়ে আওয়ামীলীগ দল। এরই সূত্র ধরে অনিয়মের জের ধরে দল থেকে ব হিষ্কার করা হয়েছে মেয়র জাহাঙ্গীরকে। এই বিষয়ে বেশ কিছু খঠা তুলে দরলেন তিনি।
‘আমি নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী) কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবো। রিভিউ করবো। উনাকে ভুল বুঝানো হয়েছে। আমার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। ভুল আর অপরাধ তো এক নয়।’ গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ এবং আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিস্কারের পর শনিবার (২০ নভেম্বর) জাগো নিউজকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম সরকার এসব কথা বলেন। মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার যে আদর্শ; বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। এ তিনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। মানুষের জীবনে ভুল থাকতে পারে, ভুল হতে পারে। আমার কিছু কথা কেটে কেটে মিথ্যাচারসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নেত্রীর কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।’
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের নিয়ে একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের তথ্য জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাহাঙ্গীরের মন্তব্য ঘিরে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা জাহাঙ্গীরের বহিষ্কার দাবি করেন। এ ঘটনায় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে গাজীপুরে মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে কয়েক দফা। গত ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি জবাবও দেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ‘সুপার এডিট’ করা বলে বারবার দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে, ওই ভিডিওর জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়। গাজীপুরে সরকারি নানা কার্যক্রমে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকারান্তরে এড়িয়ে চলার ঘটনাও ঘটতে থাকে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগ দল নিজ দলের মধ্যে থাকা বিদ্রোহী নেতাদের জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিদ্রোহী নেতাদের শনাক্ত করে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামীলীগ দল। এবং কেন্দ্রীয় ভাবে বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সর্তকবার্তা দিয়েছে আওয়ামীলীগ দলটি।