জাতীয় সংসদের হুইপ হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু ও কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কামাল।
দিনভর আলোচনা হলেও নিয়োগ নিশ্চিত হয়নি। আইন অনুযায়ী চীফ হুইপ ও হুইপ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন।
গত ১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যদের শপথ দিবসে সরকারি দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে নূর-ই আলম চৌধুরীকে (লিটন) চিফ হুইপ হিসেবে বহাল রাখার কথা জানানো হয়।
নতুন সংসদে হুইপ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপনের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই হিসেবে হুইপ পদে আসছেন নতুন তিন মুখ।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, চিফ হুইপসহ চীফ হুইপ নিয়োগের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্মতি থাকলে রাষ্ট্রপতি হুইপ নিয়োগ করবেন। পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ (হুইপস) আদেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন। আইন অনুযায়ী সংসদে একজন চিফ হুইপ ও ছয়জন হুইপ থাকবেন। তবে হুইপদের সংখ্যা ক্ষেত্র বিশেষে বাড়তে পারে। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ মন্ত্রী মর্যাদার এবং হুইপরা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুইপদের সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেউ কাজ না করলে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতো হুইপদের বাদ দিয়ে নতুন হুইপ নিয়োগ করা হবে।
সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পদ নারীদের মধ্য থেকে একজনকে হুইপ করা হবে। জাতীয় পরিষদের বর্তমান হুইপ মাহবুব আরা গিনি পদে পুনর্বহাল হতে পারেন।
এবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটের কারণে তাকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের মাধ্যমে তিনি এ পদে নিয়োগ পেতে পারেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হুইপ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এখনো সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছায়নি।