ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন অভিনেত্রী। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকাই সিনেমায় কাজ করেছেন। এবং অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। বর্তমান সময়ে তিনি আমেরিকায় রয়েছেন। সম্প্রতি আমেরিকায় বসেই তার প্রিয় ময়না পাখিটির মৃ/ত্যু/র সংবাদ পেয়েছেন তিনি। এই সংবাদকে ঘিরে মন খারাপ তার। এবং এই বিষয়ে জানিয়েছেন বেশ কিছু কথা।
দীর্ঘদিন দেশে নেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রনায়িকা ববিতা। বেশ কয়েক মাস আগেই তিনি কানাডায় তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুই সপ্তাহ আগে আমেরিকায় গিয়েছেন দুই ভাই ইকবাল ইসলাম স্বপন এবং ফেরদৌস ইসলাম লিটনের কাছে। সেখানেই হার্ডসন নদীর কাছে দারুণ সময় কাটছে তার। আমেরিকা থেকে ১৭ নভেম্বর তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তখন তিনি তার খুব কষ্টের একটি খবর শেয়ার করলেন। তা হলো ঢাকার বাসায় ৮-৯ বছর ধরে যে ময়না পাখিটিকে তিনি লালন-পালন করছিলেন, সেই ময়না পাখিটি কয়েক দিন আগেই মা/রা গেছে। ববিতা ময়নাকে হারিয়ে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন।
ববিতা বলেন, ঢাকা থেকে যখন ময়নার মৃ/ত্যু/র খবরটি শুনেছি, তখন খুব কষ্ট পেয়েছি। খুব কান্না পেয়েছিল আমার। ময়না তো আমার পরিবারেরই একজন সদস্য ছিল। তার সঙ্গে আমার অনেক সময় কাটত। আমার মতো করে হাসত, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলেই আমাকে দেখেই বলতো অনিক কই। আমাকে পপি আপা বলে ডাকত, সবাই চলে যাবার সময় বলতে খোদা হাফেজ। এসব মনে হয়ে ভীষণ কান্না পেয়েছিল আমার। কিন্তু ময়না পাখি তো আরো অনেক বেশি দিন বাঁচে। হয়তো আমি ঢাকায় থাকলে তার সুচিকিৎসা করাতে পারতাম; কিন্তু তা আর হলো না।
এদিকে আমেরিকাতে দুই ভাই স্বপন ও লিটনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে ববিতার। দু’জনই ববিতার ছোট। আবার অস্ট্রেলিয়ায় শহীদুল ইসলাম চার্চিল নামে যে ভাই থাকেন তিনি ববিতার চেয়ে তিন বছরের বড়। তিন ভাই তিন বোনই বেঁচে আছেন- এজন্য ববিতা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। সহসাই দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই এক সময়ের সাড়া জাগানো এই চিত্রনায়িকার।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন এক সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। এবং অনেক সিনিয়র অভিনেতা-অভিনেত্রী এই মাধ্যম ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এবং অনেকেই অনেক ধরনের ভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছেন। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই মাধ্যমকে দর্শক নন্দিত করে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারও প্রদান করছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।