Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Politics / চার গ্রুপে বিভক্ত নেতারা, ‘চমকে’র খোঁজে বিএনপি

চার গ্রুপে বিভক্ত নেতারা, ‘চমকে’র খোঁজে বিএনপি

কখনো ফুল, কখনো লিফলেট, কখনো শীতবস্ত্র বিতরণ করে সময় পার করছেন বিএনপির দৃশ্যমান নেতারা। সেই সঙ্গে চলছে অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ- ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কৌশল ও নীতি কী হবে? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক নীতি ও কৌশল নির্ধারণে এখনো ‘সঠিক’ অবস্থানে পৌঁছাতে পারছে না বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিক কেন আটকে আছে বিএনপি?

বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার দাবি আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তাদের কেউ বিদেশে, কেউ কারাগারে, কেউ আত্মগোপনে আবার কেউ প্রকাশ্যে।

দলের একাধিক প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এখন চারটি দল বা ধারা রয়েছে। এ কারণে শীর্ষ নেতৃত্ব শুধু আলোচনা করে সময় নষ্ট করছে। এই চার দলের সমন্বয়ের আগে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বিএনপি।

চার গ্রুপে আটকে পড়েছেন নেতারা

বিএনপিতে ইতোমধ্যে চারটি গ্রুপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে। এই চার গ্রুপের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের চক্রকে ঘিরে, বিতর্কিত হাওয়া ভবনের সহকর্মীরা। স্থায়ী কমিটির অন্তত তিনজন সদস্য এর সঙ্গে যুক্ত। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, বিদায়ী বছরের ২৮শে জুলাই পল্টনের জনসভায় ফোনে তারেক রহমানের বক্তব্য, ২৯শে জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৮ অক্টোবরের পর অবরোধ-হরতালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অংশের প্রভাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, “মূলত, এই বিভাগটি 10 ডিসেম্বর, 2022 সাধারণ পরিষদের আশেপাশে কার্যক্রম শুরু করে এবং ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ করে।”

দলটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্তব্য করেছেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির সঙ্গে তুলনা করা হয়।” আবেগগতভাবে দলের শীর্ষ নেতা প্রভাবিত হয়। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তার সামনে অস্পষ্ট।

হাওয়া ভবনে আসা-যাওয়া করতেন এমন বিএনপির এক কর্মকর্তা জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবনে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দায়িত্ব পালন করেছেন তারা প্রায় সবাই এখন দলের দায়িত্বে রয়েছেন। এরই মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিএনপির দ্বিতীয় অংশ মহাসচিব মির্জা ফখরুলবিরোধী অংশ। তাকে কোনোভাবেই ‘সফল’ হতে দেবেন না। এ অংশে স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যানসহ হাওয়া ভবনের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত।

মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মির্জা ফখরুলের কোনো বক্তব্যে কোনো ত্রুটি থাকলে তা নেতৃত্বের নজরে আনার কাজটি করেন স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও তারিক রহমানের ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার কাজটি করেন এ অংশের নেতারা।

মহাসচিবের বিরুদ্ধে অনেকেই ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বলে দাবি করেন এক নেতা। তিনি বলেন, ‘তাদের (মির্জা ফখরুল ও রিজভী আহমেদ) দুজনকে যখন দলের মুখপাত্রের ভূমিকায় রাখা হবে, সেটা নির্ভর করছে কার নির্দেশে হচ্ছে।’ ২৮ অক্টোবর পুলিশি দমন-পীড়নে নেতারা মঞ্চ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মির্জা ফখরুল একদিনের হরতাল ঘোষণা করেন (২৯ অক্টোবর)। কিছুক্ষণ পর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দেন। পরে তা সংশোধন করা হয়।

তৃতীয় ভাগে রয়েছে দলের সংসদ সদস্য ও প্রত্যাশিত দলীয় পদের সদস্যরা, যারা রাজপথের কর্মসূচিতে না থাকলেও অর্থ ও পদের ভারে দলে প্রভাব বিস্তার করেছে। এই বিভাগটি দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তুলনামূলকভাবে কম প্রভাব ফেলে। প্রোগ্রাম চলাকালীন এই বিভাগের নেতাদের খুব কমই দেখা যায়। পদ বা মনোনয়ন পেতে এই অংশটি বেশি সক্রিয়।

চতুর্থ ভাগে রয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। যারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে দিনরাত ‘ঝাটিকা মার্চ বা সাডেন মার্চ’ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ‘ঝাটিকা মার্চ’-এর নেতৃত্ব দেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দলে যখন কোনো আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক থাকে, তখন সেটা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। সবার একমত হওয়ার কথা নয়, সবার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ভিন্ন। যে চিন্তা যৌক্তিকভাবে এগিয়ে যায় তা প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি খুবই স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

মির্জা ফখরুলের মুক্তির অপেক্ষায় আত্মগোপনে নেতারা

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, মামলা ও রায় পরিস্থিতি বিবেচনায় সিনিয়র নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্তত ২৩ হাজার নেতাকর্মী কারাগারে থাকায় তারা কারাগারে আছেন।

রহমান। শব্দের শব্দে গুলশানের ব্রিফ করেছেন ড. আবদুল মাঈন খান। বয়োবৃদ্ধ ব্যারিস্টার জমিদার সরকার বাসা থেকে ভার্চুয়ালি প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের দেশ থেকে ইকবাল হাসান মাহমুদ তু সলাহ অভিযান অভিযানে যুক্ত নারী।

২৮ অক্টোবরের আগে সভা-সমাবেশে স্থানীয় সংসদে আড়াই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আলোচনায় গত সপ্তাহে তার উপস্থিতি প্রকাশ করা হবে না। এরাস বছর ৯ জানুয়ারি তারেক রহমান যুগপৎ আন্দোলনে যোগদান নিয়ে আলোচনায় ভার্চুয়ালি শুরু করতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। স্থায়ী সদস্য সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ সিওনাইট ইউনাইট পরীক্ষাধীন।

গত (১৮ জানুয়ারি) ও খুলনা (১৯ জানুয়ারি) খুলতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম বারর্ষিক সংসদ সদস্য সংসদ নির্বাচনে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ মধ্যে ভাইস নোস আবদ আবদ আলমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ড. আসাদ সকাল রিপন অনেক। যদিও আল-আসলের জন্য অনেকগুলো ভিড় থাকে।

আপনি আপনার সদস্য সদস্য সেলিমা রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের মালিকদের আত্মগোপনে থাকার কারণ এখনও অনেকেরগ্রাম ওয়ারেন্ট আছে। যেমন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বেরুতে পারছেন না, তিনি আগাম জামিনের নাম বের করবেন। যেমন আবদুল আউয়াল মিন্টু জামিন গড়।

মির্জা ফখরুলের ইচ্ছা সেলিমা রহমানের ভাষায়, ‘সরকার করে তার জামিনের খেলা বিলম্বিত করছে। প্রধান মনের বাসভনে প্রশ্নরটি আবারও নিম্ন আদালতে বোঝানো হয়েছে। আবেগ ইচ্ছা বাঁকা পথ আগানো। মির্জা ফখরুলকে নিয়েও তা-ই করছে।

‘চমক’ খোঁজে

সন্ত্রাসবাদী প্রচারক শব্দশ্লেষ মনে করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নতুন সরকার গঠন মধ্য দিয়ে নতুন নীতি ও অবস্থানের সময় আলোচনার সমালোচনা। এই সময়ক্ষেপণ অবস্থান পশ্চিম শব্দ বন্ধুরাষ্ট্রের ভূমিকা, রাষ্ট্র পরিস্থিতির পরিস্থিতির পরিস্থিতি রয়েছে। সার্বভৌম জনগণ ও আইন আইন কঠোর রাষ্ট্রীয় সহকারী প্রতিষ্ঠানের আচরণও পালন করছেন।

জোরুল সেলের সদস্য শায়র কবির খান জানান, গত ৯ জানুয়ারি থেকে মুসলিম ভার্চুয়াল প্রাপ্ত তারেক রহমানের পাকিস্তানে সক্রিয়তা চলমান আন্দোলনে যুক্ত দল ও শক্তির লিয়াঁ ক্ষমতা ভার্চুয়াল নেতা হচ্ছে। সংসদ গণতন্ত্রমঞ্চ, ১২ ভোটের প্রতিক্রিয়া, জাতীয়তাবাদী সমমনা, এলডি, গণঅধিকার অন্যান্য-নুরুল ঠিক নুর, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বা ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ, গণঅধিকার-অধিকার-ফারুক হাসান, এনডিএমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

গণমানুষের দাবি, বিএনপিকে নতুন কিছু বলার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিবাদ করতে হবে। যেহেতু পরের পর একাদশ নির্বাচনের ফলাফলের ফলাফলের মধ্য দিয়ে ভোটের ফলাফল পাওয়া যায়নি। তৃণমূল প্রতিনিধি দলীয় প্রার্থী হতে শুরু করেছে। সর্বদা তিনি বিদ্যমান সাংগঠনিক আবারও আন্দোলন পুনর্গঠন করতে পারবেন—এমন পরিস্থিতি নিশ্চয়তা নেই।

‘এটা নৈতিকভাবে ঠিক করা, নিজের মত একটি বড় দলকে মোকাবিলা করা শেখার জন্য একটি ঘটনা। লুৎফুর রহমান।

বিএনপি ছাত্রদের নগদ সদস্য এই আহ্বায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি আমি মনে করি পছন্দের মধ্যে অসন্তোষ আছে। তবে এখনও নির্বাচন হয়েছে, আশা করি খুব শিগগিরই বিএনপি তাদের নতুন কৌশলে কর্মসূচি ঠিক করবে এবং বাধা দেবে। কারণ, তাদের দেশের জনগণ রয়েছে।

অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘নতুন কৌশলে কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিএনপি, ছাত্রদল সহ অন্যান্য সব অঙ্গসংগঠনের বার কাউন্সিলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আশা কাউন্সিলয় কাউন্সিলের, কেননা কাউন্সিল নতুন গঠন করে। গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলনে থাকার কারণে বিএনপি কাউন্সিল করতে পারে। আশা বিএনপিই এবং সরকারী সংস্থা তৃণমূল কর্তৃপক্ষ সহকারী চাহিদার দিকে গুরুত্ব দিতে পারে।

আলোচনা বিষয়ক আলোচনা পাশে দল আছে, পক্ষ নেই, পক্ষান্তরে পক্ষপাতী। সেক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করতে হবে।

সাধারণ সাংগঠনিক নির্বাচন (সিলেট বিভাগীয়) ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলা ত্রিবিউকে বলেন, ‘আলাপ-আলোচনা বর্ণনা দলকে সংগঠিত করে আমার আন্দোলনের পক্ষে আলোচনার বিষয়ে। আমাদের অত্যন্ত সুরুঙ্খল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ২৮ অক্টোবর সরকার ক্র্যাকডাউন করে পাণ্ডে। প্রশ্নফাঁস করে আমাদের প্রার্থীর সমর্থন সহ ২৩ হাজার নেতাকে ভোট দিতে বলা হয়েছে। ওরা নির্বাচন নাটক মঞ্চস্থও জনগণের এই নাটকের অংশীদার।

ডা. সাখাওয়া হাসান জীবনকে উল্লেখ করেন, ‘গণকে নিয়ে দল সুগঠিত করে নিয়মতান্ত্রিক দলসংগঠন রাখবো। গণতান্ত্রিক বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। আশা করি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক গণতন্ত্র আনবো’।

জানতে চাওয়ার সেলিমা রহমান বলেন, ‘আগে আমরা আপনাকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের বের করে আনতে হবে। সরকারি সংস্থা পুনর্গঠনের বিষয়, কাউন্সিলের

About Zahid Hasan

Check Also

‘আ.লীগ রঙ দেখছে, কিন্তু রঙের ডিব্বা দেখেনি’ দল যে সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়, তাতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *