খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফফে) সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আদালতে রিটের শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি এমপি হয়ে আরেক এমপির বিরুদ্ধে লড়ছি। তিনিও সংসদে শপথ নিয়েছিলেন এবং আমি তা নিয়েছি। আমরা ব্যক্তিস্বার্থকে বড় না করার প্রতিজ্ঞা করেছি। তিনি যে বাড়িতে থাকেন তা আপনি জানেন সরকারি জমি। এ বিষয়ে দুদক প্রতিবেদন তৈরি করলেও কমিশন এ প্রতিবেদন আদালতে জমা দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, দুদকের আদালত আগের শুনানিতে প্রতিবেদন দাখিল না করলে আদালত অবমাননার শিকার হবেন বলে জানানোর পরও তারা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। দুদকের আইনজীবীকে বলতে চাই, যিনি বলেন দুদক পক্ষপাতদুষ্ট নয়, দুদক কারও কাছে মাথা নত করে না। তবে সালাম মুর্শেদীর ব্যাপারে দুদক মাথা নত করেছে কিনা জানি না, তবে মাথা ঘুরছে।
এর আগে গত বছরের ২০ জুলাই খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটির তদন্ত শেষ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠিত তদন্ত দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফফে)। দুদক কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যা এখন পর্যালোচনাধীন। কমিশন অনুমোদন দিলেই হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফফে) সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত নথি ও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফফে) সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাসা দখল করে দুদকের কাছে প্রতিবেদন দিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই দিন সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রেজা এ কাগজপত্র দাখিল করেন।
সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে বাড়ি তৈরি করায় সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আসামিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে ১০ দিনের মধ্যে এ সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।