মৃত্যু এমনই একটি চিরন্তন সত্য, যার থেকে নিস্তার নেই কাররই। যে জন্মেছে, তাকে একদিন না একদিন এই স্বাধের পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে অনেক দূরে। যেখানে থেকে আর কখনো ফিরে আসা সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু মৃত্যু কাঁদিয়ে যায় সবাইকে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন। গুণী এই নেতার মৃত্যুতে যেন কাঁদছে সারা-বাংলা।
তার মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতাকর্মীরা।
শুধু তাই এদিকে আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে তার ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিষ্ঠাবান রাজনীতিকের প্রয়োজনীয়তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি। টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মরহুম একাব্বর হোসেনকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গড়ে তুলছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো আদর্শিক, সৎ ও নিষ্ঠাবান যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে একাব্বরও ছিলেন। আমাদের পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য যাদের তৈরি করছিলাম, তাদের একজনকে হারালাম। এই মৃত্যু দেশ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। দুর্ভাগ্য তাকে হারালাম।
বর্তমান সংসদের এই সদস্যের মৃত্যুতে সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সর্বসম্মতক্রমে তা গ্রহণ করা হয়। এর আগে সংসদ নেতা শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন।
চলমান সংসদের কোনো সদস্য মারা গেলে সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাব ওঠানোর পর তা নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। শোক প্রস্তাবের ওইদিন সংসদের অন্য কার্যক্রম স্থগিত রেখে বৈঠক মুলতবি করা হয়।
গত বেশকিছু দিন ধরেই কিডনিসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ব্রেন স্ট্রোকের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে দুর্ভাগ্যবসত সেখান থেলে আর বাড়ি ফেরা হলো না তার। এদিকে গুণী এই নেতার মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।