মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পদত্যাগ করছেন নাজমুল হাসান পাপনের গুঞ্জন। যদিও একই সঙ্গে দুটি দায়িত্বে থাকতে কোনো বাধা নেই। আবার বিসিবি সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ প্রায় দুই বছর বাকি। তাই বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথমবার দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবির দায়িত্ব নেন পাপন। এরপর টানা তিনবার বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ ৬ অক্টোবর ২০২১ সালে তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পান।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে আসছে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম। দীর্ঘদিন জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া সাকিব আল হাসানকে নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন। এ সময় পাপনের মন্তব্য, আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই বড় কথা। কথা বলছি যদি দুজনে একসাথে থাকি; তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ভাবতে পারে ক্রিকেটে আমার মনোযোগ একটু বেশি। এটা সবার ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বিসিবি বসের মন্তব্য যদিও আমি বলি, আমি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রিত্বে না থাকলেও ক্রিকেট সবসময় আমার পাশে থাকবে। মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। তবে এটা ভালো; আলাদা হলে আলাদা করাই ভালো। কারণ, তাহলে মানুষের সেই সন্দেহ থাকবে না, হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে গুরুত্ব দিতে চাই। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।
ক্রীড়ামন্ত্রীর মতে, কয়েকটি মৌলিক বিষয় রয়েছে, প্রথমটি হল আপনি চাইলে এখনই ছাড়তে পারবেন না। আমরা দেখেছি জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে তারা প্রায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিল, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি। আমি মনে করি, তাড়াহুড়ো করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়, যাতে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু বিকল্প কি? একটি বিকল্প হল তাদের সাথে কথা বলা। এখানে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হল আমাদের মেয়াদ যা আইসিসি সবসময় চায় তাদের নির্বাচিত সংস্থার (নির্বাচিত কমিটি) পূর্ণ মেয়াদ। আরেকটি হল আইসিসির মেয়াদ।
পাপনের দাবি, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আইসিসির কথা ভেবে বেরিয়ে আসার সুযোগ থাকতে পারে বলে মনে করি। তবে সেক্ষেত্রে যারা এখন বোর্ডের পরিচালক তাদের একজন হতে হবে। মানে বাইরে থেকে কারো আসার সুযোগ নেই।