বরিশাল আইন কলেজে (আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়) ছাত্রলীগ নামধারীদের হামলায় কলেজ কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর হাসপাতাল রোডে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
এ ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সাবেক প্যানেল মেয়র গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ভেতরে বসে ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের সদস্য আরিফ হোসেন অপুর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন কলেজে প্রবেশ করে। অপুসহ ৪-৫ জন আমার শার্টের কলার ধরে টেনে একপাশে নিয়ে গিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। তারা আমাকে বলেন, কলেজ কমিটির সবাই সাদিকের অনুসারী, তাই এখন থেকে আপনার সিদ্ধান্তে কলেজ চলবে না। আমাদের কথামতো কলেজ পরিচালিত হবে। তোরা আজ থেকে বিদায় হবি। সাদিক অনুসারীরা এ এলাকায় থাকতে পারবে না।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকন, শিক্ষক অধ্যাপক আ.স.ম. জসিম উদ্দিনকে মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। পরে তারা ক্লাস রুমে ঢুকে তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। হামলাকারীরা কলেজে ভাঙচুরও চালায়। অধ্যক্ষের কক্ষে সাদিক আবদুল্লাহর ছবি টাঙানোর জন্যও তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকন জানান, অধ্যাপক জসিম স্যারকে ক্লাস থেকে বের করে মারধর করা হয়। আহত তিনজনের মধ্যে ইব্রাহিম সুমনসহ দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময় বেশ কিছু মোবাইল খোয়া যায়। এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
বরিশাল কোট্যালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে দেওয়া হবে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বিষয়গুলো আমি জানি। প্রশাসনকে জানিয়েছি। মহানগর আওয়ামী লীগ বসে সিদ্ধান্ত নেবে। হামলার কারণ সম্পর্কে সাদিক বলেন, এটা ঠিক হয়েছে। বিস্তারিত পরে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।