বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম একজন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সক্রীয় রয়েছে। এবং বর্তমান সময়ে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমি ক্ষমতায় গেলে দেশের সব অসহায় দরিদ্র মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা দেবো। এর পেছনে হয়তো সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তিনি আরও বলেছেন, বর্তমান সরকার তো দরিদ্র মানুষের জন্য এসব করবে না, মুখে শুধুমাত্র নানা ধরনের উন্নয়নের কথা বলেন। কোন ধরনের উন্নয়ন? যে পদ্মাসেতুর বাজেট ১২ হাজার কোটি টাকা থেকে এখন গিয়ে ঠেকেছে ৩০ হাজার কোটি টাকার উপরে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃ/ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মান্না বলেন, বেগম জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোনো সাধারণ মানুষ নন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকার বিদেশে নিতে দেবে না। এমনকি কোনো সহযোগিতাও করতে চায় না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হাসপাতালের সিসিইউতে আছেন। তার চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কি না, আমরা জানি না। অবাক লাগে, তাকে বিদেশেও নিতে দেবে না। দেশের একজন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না, এটা ভাবতেই তো কষ্ট লাগে। অথচ এই বোধশক্তি সরকারের নেই। বর্তমান সরকারের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই মন্তব্য করে মান্না বলেন, বেগম জিয়ার যদি কিছু হয়, তার জন্য এককভাবে সরকার দায়ী। এই দায় থেকে তারা যেন মুক্তি না পায়, এজন্য সবাইকে এক হতে হবে। আমি বিএনপি করি না। ভবিষ্যতে করব কি না তাও জানি না। কিন্তু মানবিক দিক থেকে সবাইকেই আমাদের এক হতে হবে। ক/রো/না প্রসঙ্গে মান্না বলেন, দেড় বছর ধরে করোনা চলছে। এই দেড় বছরে সোয়া তিন কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। আপনারা এত গালিগালাজ করেন, অথচ পাকিস্তান করোনার সময়ে মানুষের সব ধরনের দায়িত্ব নিয়েছে।
দেশের বর্তমান সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। এই দলের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এবং প্রায় সময় দলটি নানা কর্মকান্ডকে ঘিরে দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে সকল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে দিয়েই দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছে দলটি।