Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Exclusive / শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে যেসব শিরোনাম করলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে যেসব শিরোনাম করলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। দুটি আসন ছাড়া ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণার পর বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। এই ‘বিতর্কিত’ গণভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পঞ্চমবারের মতো এবং টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে দলটি। বরাবরের মতো এবারও এই জয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ভোটের শতাংশ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী শেখ হাসিনা, আল জাজিরা এমন শিরোনাম করেছে। তফসিল ঘোষণার পরই আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এককভাবে জিতেছেন ২২২টি আসনে। দলগতভাবে জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কার্যকর বিরোধী দল হিসেবে কাউকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিবিসির শিরোনাম হয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবচেয়ে কম ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে এই নির্বাচনে। অনেক সমালোচকের মতে, এই পরিমাণকেও বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনা দল একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ তুলে আগেই ভোট বর্জন করেছে। বিএনপি এই নির্বাচনকে লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছে।

রয়টার্সের একটি শিরোনাম অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ের প্রত্যাশায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিরোধী দলের ভোট বর্জন এবং প্রদেয় ভোটের শতাংশ এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। অধিকাংশ বাংলাদেশি নাগরিক রোববারের এই নির্বাচনে ভোট দেননি। ২০১৮ সালের তুলনায় অর্ধেক অর্থাৎ ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে নির্বাচনে।

তবে প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দলটি অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং এর পরিধি বেড়েছে। একই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে হাসিনার সরকার।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৫টি আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এ পর্যন্ত ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবার পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। মহাজোটের শরিকদল হিসেবে যে ২৬টি আসনে তারা আওয়ামী লীগের কাছে ছাড় পেয়েছিল, তার অনেকগুলোতেই জামানত হারিয়েছেন জাপা প্রার্থীরা।

এর বাইরে আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এছাড়া বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে আসা কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। তারপর নির্দিষ্ট ব্যবধানের পর গণনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যা দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ছাড়াও বিদেশি গণমাধ্যমও সরব। ১৯৯৬ সালের পর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এই দলটি টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল যদি এককভাবে ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদে ১৫১টি আসনে জয়ী হয়, তবে তারা সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ পরবর্তী সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ করে শুরু থেকেই নির্বাচন বর্জন করে। বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি, অসহযোগ আন্দোলন এবং গত ভোট বর্জনের দাবিতে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো। তবে চলমান অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ট্রেন ও বাস ছাড়াও ভোটকেন্দ্র ভাংচুর করে।

 

 

About bisso Jit

Check Also

চুলের মুঠি ধরে নারী চিকিৎসককে রোগীর মারধর (ভিডিও সহ)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *