বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে জনগনের ভোটের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সরকার প্রধান গঠিত হয়ে থাকে। সরকার পক্ষের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পায়। তবে এক্ষেত্রে সম্প্রতি সামরিক আমলের আইন বাতিল করে সংসদে বিরোধী দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে নতুন আইন পাস হয়েছে।
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে সামরিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন ‘বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ পাস করা হয়েছে সংসদে। সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিলটি পাস হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব পেশ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ১৯৭৯ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বিরোধী দলীয় নেতা সরকারের একজন মন্ত্রীর জন্য ধার্য বেতন, ভাতা, অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন। আর বিরোধী দলীয় উপনেতা একজন প্রতিমন্ত্রীর সমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন।
বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে কাকে বিবেচনা করা হবে সে সম্পর্কে আইনে বলা হয়, বিরোধী দলীয় নেতার অর্থ ‘স্পিকারের বিবেচনা মতে সময় সময়, যে সংসদ সদস্য সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত দল বা অধিসংঘের নেতা’। সংসদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সাধারণত প্রধান বিরোধীদলের সংসদীয় দল বৈঠক করে বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা মনোনীত করে থাকে। পরে তারা স্পিকারকে সেটি লিখিতভাবে জানায়। স্পিকার কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।
বর্তমান সময়ে জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন পদে রয়েছে আওয়ামীলীগ দল। এবং বর্তমান সময়ে এই সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা এবং তার ভাই জিএম কাদের বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।