পাকিস্তান জাতীয় দল ও সাবেক মোহামেডানের ফুটবলার জহিরুল হক আর নেই। আজ সকাল ৭টায় পঞ্চাশের দশকের এই ফুটবলার পেরিয়ে গেলেন না ফেরার দেশে।
জন্ম ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে। গতকাল ৮৯তম জন্মদিন। এদিন হাসপাতালের বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি!
ছেলে রেজওয়ানুল হক জানান, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ বাদ জোহর আনসার ক্যাম্পের পাশের মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যায় মণিপুরীপাড়ার খেজুরবাগান জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুষ্টিমেয় কয়েকজন ফুটবলার যারা পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেছিলেন। সেই পরিচয় ছাপিয়ে ঢাকা মোহামেডানের জার্সিতে হাজির হন জহিরুল হক। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সাদা-কালো ক্যাম্পে মোহামেডানের ছেলে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলারদের একজন হয়ে ওঠেন। মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করেছেন পাঁচবার। সমসাময়িক ফুটবলাররা তাকে ডাকতেন ‘মোহামেডানের জহির ভাই’। রাইটব্যাকে তার মতো ফুটবলার খুব কমই এসেছে এই মাটিতে।
২০০১ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। তার দীর্ঘ খেলার ক্যারিয়ারে তিনি ২২টি ব্লেজার পেয়েছিলেন, যা তিনি গর্বিতভাবে বাড়িতে অতিথিদের দেখাতেন। মিরপুর ১ নম্বর আনসার ক্যাম্পের কাছে নিজ বাড়িতে ওই পুরস্কারগুলো রেখে যান তিনি।
তার মৃ/ত্যুতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছে।