গত বছর কয়েক আগেই খালেদা আক্তার পনিরকে বিয়ে করেছিলেন নুরুল ইসলাম। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জের ধরে মাত্র কয়েক মাসের মাথায় নুরুলের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী খালেদা। আর এ মামলার আলোকে নুরুল ইসলামকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর সেই সাজা এড়াতে ৭ বছর পলাতক ছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ৪ নাম্বার আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ।
আজ (১৬ নভেম্বর) বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চোপুলি-ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে খালেদা আক্তার পনির সাথে বিয়ে হয় বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের ধৃতপুর গ্রামের মজিদ পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আবু বোরহান পাটোয়ারীর ছেলে নুরুল ইসলামের। তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।
কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মাথায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বাপের বাড়ি চলে যায় খালেদা। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় নুরুল ইসলামকে এক বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে গ্রেফতার এড়াতে তিনি ওমান চলে যান। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ওমানে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি আসেন।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাজা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ কয়েক বছর দেশের বাইরে পালিয়ে বেড়িয়ে চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর দেশে ফেরেন নুরুল। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।