Sunday , November 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির বহু প্রার্থী, জানা গেল কারণ

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির বহু প্রার্থী, জানা গেল কারণ

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যতম দল জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের অনেকেই বলেছেন, শুরু থেকেই তারা জাতীয় পার্টির ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জাতীয় পার্টির অন্তত ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এসব প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচারণাও বন্ধ রয়েছে।

তারা বলছেন, সারাদেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টির জন্য ‘ভুল’।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২৬টি আসনে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বাকি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে ‘অবহেলিত’ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এতে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে এবং এই দূরত্ব নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গত ২২শে নভেম্বর আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। পরে ১৭ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সাথে ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয়। এসব আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এ পর্যন্ত যে প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, তারা সবাই জাতীয় পার্টির জন্য আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া ওই ২৬টি আসনের বাইরের আসনগুলোর প্রার্থী। কিন্তু ওই ‘ছেড়ে দেয়া’ আসনগুলো থেকে এখনো কেউ সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেননি।

এদিকে গত ১ জানুয়ারি রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত তিনি থাকবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এরপর তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না চাইলে ওই প্রার্থীর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।

বরিশাল-২ ও ৫ আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় পার্টি ও দলটির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন তাপস। তার চলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে মি. হোসেন বলেন, একজন তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান এবং জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচন করুক।

কিন্তু তিনি ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে ছিলেন।

তিনি যোগ করে বলেন, “১৭ তারিখের (ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে যখন দেখলাম যে, নাটকীয়ভাবে জাতীয় পার্টি ২৬টি সিটে সমঝোতার নির্বাচনে গেলো, সেই মুহূর্তে নির্বাচন থেকে বের হয়ে আসার বা প্রত্যাহার করার কোনও সুযোগ ছিল না।”

উল্লেখ্য, নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনও ছিল ১৭ ডিসেম্বর।

মি: হোসেন বলেন, তারা এলাকায় গিয়ে দেখেছেন, যে সব আসনে একমত হয়েছে, সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা তাদের পোস্টারে উল্লেখ করেছেন যে তারা মহাজোটের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

কিছু প্রার্থী জয় বাংলা স্লোগান ও পোস্টারে শেখ হাসিনার ছবি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রহসন ও ভুয়া নির্বাচন এবং মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আমি ভেবেছিলাম, এই নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

এ কারণেই তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান তিনি।

About bisso Jit

Check Also

জেলে থেকে শত কোটি টাকার মালিক আলমগীর

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন ও তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *