২০২১ সালের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যার সফল সমাপ্তি ঘটলো নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়ে। জানা গেছে, ক্রিকেটের এই মিনি সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কোন দল।
গতকাল (রবিবার) অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে বেশ বড় ধরনের ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭৩ রানের টার্গেটে ৭ বল বাকি থাকতেই ১৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুব একটা ভালো পারফরমেন্সে ছিল না অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে আসেনি তারা। ইভেন্টের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে দলটি। আর সেই দলই শিরোপার স্বাদ পেল। চ্যাম্পিয়ন ব্যাজ পরে নিল।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অহংকার ও সম্মানকে যদিও টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায় না, তবু প্রাইজমানি বলে একটি বিষয় তো থাকছেই। টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে কত পেল অ্যারন ফিঞ্চের দল? মোট ৫৬ লাখ ডলার প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা!
ট্রফির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে ১৬ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না কেইন উইলিয়ামসনদের। এবারও রানার্সআপ হয়েই ভগ্ন হৃদয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে কিউইদের।
তবে ফাইনালে ওঠায় নিউজিল্যান্ড পাচ্ছে ৮ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুদল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড পাচ্ছে ৪ লাখ ডলার করে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
নিরাশ হতে হবে না সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নেওয়া বাকি দলগুলোকে। সুপার টুয়েলভে অংশ নেওয়া খেলা ১২ দলের প্রত্যেকেই পেল ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
প্রথম রাউন্ডে দলগুলোও প্রাইজমানি পেয়েছে। প্রতিটি দলই পেয়েছে ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি প্রায় ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রথম রাউন্ড ও সুপার টুয়েলভে প্রতিটি জয়ে দল পেয়েছে ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, প্রথম সেমিফাইনালে, নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে জিততে স্তব্ধ করে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও ফেভারিটদের বিরুদ্ধে একই রকম ৫ উইকেটের জয় দাবি করে এবং অপরাজিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শীর্ষ ল’/ড়াইয়ে পৌঁছায়। ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উভয়ই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি, এবং টুর্নামেন্টে একটি নতুন বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা ছিল। অসিরা অবশেষে রবিবার (১৪ নভেম্বর) ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি শিরোপা না পাওয়ার খসড়া শেষ করেছে।