গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষায় অংশ নেননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। যাদের মধ্যে ছাত্রী শিক্ষার্থীদের অংশ না নেওয়ার তথ্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। অনেকের স্কুলে পড়া অবস্থায়ই বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকে বিয়ের পর সন্তান জন্ম দিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে খাগড়াছড়িতে। সন্তান জন্মদানের ২ ঘণ্টা পরেই এসএসসি পরীক্ষা দিতে বসলেন মা। জানা গেছে, প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে গতকাল (রোববার) অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর রাতের দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা। এই ১৮ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার। আজ (সোমবার) সকাল ৮টা ৫ মিনিটের দিকে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
এরপর সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে, নবজাতককে বাড়িতে রেখে দীঘিনালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।
সকালে দীঘিনালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছেন ফাতেমা আক্তার। পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় তার খালার সাহায্যে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে মানবিক বিভাগে ( এ কেন্দ্রে) ৩৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
ফাতেমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, নবাজাতককে বাড়িতে রেখে আমি খালাকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমি স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা দিয়েছি। আমার কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি।
অনুপ চন্দ্র দাস যিনি দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, ফাতেমা নামের ঐ পরীক্ষার্থী সন্তান প্রসবের পর পরই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এই বিষয়ে আমাদের কাউকে জানায়নি। এমনকি ঐ পরীক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকেো কিছু জানানো হয়নি।