Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকের কথায় স্বামীকে তালাক, এখন লাপাত্তা প্রেমিক

শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকের কথায় স্বামীকে তালাক, এখন লাপাত্তা প্রেমিক

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ৪ দিন ধরে সহকর্মীর বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা (২২)। তবে বাড়িতে প্রেমিকার আসার খবর পেয়ে অবাক হয়েছেন প্রেমিক ফারুক মিয়া (২৮)।

ফারুক মিয়া উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের মো. আবু বকরের ছেলে। ওই নারী টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এক সন্তানের মা।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করেন। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ওই নারী ফারুকের বাসায় অবস্থান করছেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই নারী জানায়, সে ফারুকের সঙ্গে বালুকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। কাজের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় গত এক বছর ধরে ফারুক তাকে ”ধ””র্ষ”ণ” করে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি ফারুক তাকে বলেছিলেন যে তার স্বামীকে তালাক দিলে তিনি তাকে বিয়ে করবেন। ফারুকের কথায় স্বামীকে তালাক দেন তিনি।

তবে তালাকের পর ফারুক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ফারুকের সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিয়ের দাবিতে ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করেন। আসার পর ফারুক বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, ফারুক আমাকে বলেছে স্ত্রী-সন্তান রেখে গেলে আমাকে বিয়ে করবে। তার কথায় সব ছেড়ে দিলাম। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এর আগেও বেশ কয়েকবার ওই তরুণীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন ফারুক। আমরা জিজ্ঞেস করলে ফারুক বলেন, এটা তার বান্ধবী, বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বাবা-মাকে দেখানোর জন্য নিয়ে আসা।

ফারুকের পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বে তার মা মোছা. সেলিনা বলেন, আমার ছেলে কোথায় আছে আমি জানি না। এই মেয়ে অবিবাহিত হলে চিন্তা করে দেখতাম। বিবাহিত মেয়েকে ছেলের বউ করবো না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, মেয়েটির কাছ থেকে কিছু প্রমাণ দেখে ছেলেটির অভিভাবক তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ফারুকের পরিবার বিয়ে হওয়ায় রাজি হচ্ছে না। পরে আমি ওই তরুণীকে আইনি সহায়তা নিতে বলি।

ওসি মোঃ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর পর তাকে ফারুকের বাবা-মায়ের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি যাতে কোনো অসুবিধা বা অত্যাচারের শিকার না হন তার জন্য একজন গ্রাম পুলিশ তার দেখাশোনা করছেন।

About Rasel Khalifa

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *