দুদিন সময় দিলাম, নৌকার পক্ষে কাজ করবেন, না হলে সমস্যায় পড়বেন : ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ওসির বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান আনিচ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর কারণে এ অভিযোগ করা হয়।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ত্রিশাল উপজেলার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জুয়েল আহমেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর আগে উপজেলার ২নং বৈলর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শাহান শাহ ও ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ সোহেল আহাম্মদ থানায় কাজে গেলে ওসি কামাল তাদেরকে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তিনি।

পাশাপাশি ধানীখোলা ইউনিয়ন বীট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান স্থানীয় ভোটারদের নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ধানীখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল বলেন, এলাকায় কাজের জন্য থানায় গিয়েছিলাম। এ সময় ওসি জানতে চান, আমি কার নির্বাচন করছি। তখন আমি বলি এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। এর জবাবে ওসি আমাকে বলেন, আপনাকে দুদিন সময় দিলাম। নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে, ভেবে আমাকে জানাবেন।

এবেইলর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শাহান শাহ বলেন, আমি একটি কাজে থানায় গিয়েছিলাম। তখন ওসি আমাকে বলেন, আপনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, তা করা যাবে না। আপনি নৌকার পক্ষে কাজ করবেন, না হলে সমস্যায় পড়বেন বলেও আমাকে হুমকি দেন।

তবে ত্রিশালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি। তবে আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।

একইভাবে ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে নৌকায় ভোট দিতে চাপ দেইনি। এটি একটি মিথ্যা অভিযোগ।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই, শুধু শুনেছি।