পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে বলেন, বাঙালি জাতির আসল উদ্দেশ্য যেটা সেটার পথের কাটা হলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা। গত শুক্রবার অর্থাৎ ১২ ই নভেম্বর ‘ঘৃ’ণ্য আইন ইনডেমনিটি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় তিনি তার বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন কথা বলেন। বক্তব্যকালে তিনি সংবিধানের অসা’ম্প্রদায়িকতার বিষয়টি তুলে ধরেন। অসা’ম্প্রদায়িকতার কথা বলা হলেও সেটা বর্তমানে বি’ভ্রান্তকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘বঙ্গবন্ধু আমাদের অস্তিত্বে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থায়, প্রগতিশীলতার পক্ষে আর সকল সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রগতিশীল সাংবাদিক মঞ্চ নামে নতুন আরেকটি সাংবাদিক সংগঠন আজই আত্মপ্রকাশ করে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দা’য়মুক্তির পরম্পরা হিসেবে পরবর্তী পর্যায়ে দ্বিতীয় সা’/ম’রিক শাসক (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) আরেকটি পেরেক মে’/রে রেখেছে। কীসের ওপরে? আমাদের জাতিসত্তার ওপরে। আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে পুনরায় প্রবর্তন করে। সংবিধানের মূলবাণী অসা’ম্প্রদায়িকতা, সেটাকে সে ঘা দিয়ে চলে গেল এবং সেটা আমাদের পদে পদে বিভ্রান্ত করছে। জাতির প্রকৃত যে উদ্দেশ্য সেটার পথের কাঁটা গেড়ে রেখে গেছে। এ ধরনের আরও অসংখ্য মাইন প্রধানমন্ত্রীর পথে আছে।’
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ একটি কালো অধ্যায়, যেটা জাতিকে সবসময় বহন করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হ’/’ত্যাকা’রী যারা ছিলেন, তাদেরকে দা’য়মুক্তি দেওয়ার জন্যই এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। দা’য়মুক্তির যে বিষয়টি সেটি প্রকৃতপক্ষে অস্বস্তিকর, এমনটা উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সেই সময় যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ চালু করেছিল, সেটা দিয়ে কোন দা’য়মুক্তি হয়েছে কিনা আমার এ বিষয়ে জানা নেই। সেই সময় ইনডেমনিটির মাধ্যমে বিচারহীনতার একটা ক্ষেত্র সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানটিতে ফরিদা ইয়াসমিন যিনি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন, তিনি বলেন ইন্ডিয়ান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার পর জিয়াউর রহমান বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সেই পরিকল্পনায় পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনে রূপান্তর করেন। যারা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের খু’/’নি তাদের তাদের রক্ষা করার জন্য চেষ্টা চালান।
খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের।