পাঁতুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে পাঁচ বছর আগে ”খু”ন’ হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে খাশোগির স্ত্রী হানান এলাতরকে এই সুবিধা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজের জীবনের শঙ্কায় এলাতর ২০২০ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়েছিলেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আবেগপ্রবণ হানান এলাতার বলেন, আমরা জয়ী হয়েছি। হ্যাঁ তারা (‘খু”নি’রা’) জামালের জীবন নিয়েছিল এবং আমার জীবন ধ্বংস করেছে কিন্তু আমরা জিতেছি। তবে, হানান ইলাতার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার পর তিন বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে। জন্মস্থান মিশর কিংবা ২৫ বছর ধরে বসবাস করে আসা আরব আমিরাতে ফিরে গেলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এলাতর।
একজন প্রাক্তন এমিরেটস ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তার চাকরি এবং তার স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে দিয়ে আমেরিকার মেরিল্যান্ডে কয়েক মাস ধরে সেই ভয়ের সাথে বসবাস করেছিলেন এলাতার। এরপর ২০২১ সালে তিনি সেখানে ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী র্যান্ডা ফাহমি। ইলাতার এখন একটি চাকরি এবং একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে।দীর্ঘ সময় লাগলেও তার ‘দরজা খুলে দেওয়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে এলাতরের ভাষ্য তিনি ‘ভয় থেকে মুক্তি পেয়েছেন’।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশোগিকে হত্যা করে তার লাশ গুম করে ফেলে সৌদি গোয়েন্দারা। মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে এই ”হ”ত্যা’কা’ণ্ডে”র’ নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘প্রকৃত’ শাসকের ভূমিকায় থাকা ‘এমবিএস’ নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান। যদিও যুবরাজ মহম্মদ প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।