খুলনার রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ্বাসসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সুজা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অপর তিনজন হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির ভাই রেজাউল বিশ্বাস, জোয়ার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনা বিশ্বাস ও যুবলীগ কর্মী সাগর বিশ্বাস।
এদিকে কুপিয়ে ৪ নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাবিবুর রহমানসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম বিশ্বাস জানান, শুক্রবার দুপুর ১টায় রূপসা উপজেলার সুজা চত্বরে খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সালাম মুর্শেদীর নির্বাচনী সভা ছিল। সভা শেষে বিল্লাল নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী এমপিকে অভিযোগ করেন, পালেরহাট হাটটি তিনি ইজারা পান। কিন্তু এমপির নাম ভাঙিয়ে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা এস এম হাবিব হাটটি দখল করে নেন।
এ সময় সালাম মুর্শেদী বিষয়টি পরবর্তীতে সুরাহা করার আশ্বাস দিয়ে চলে যান। এমপি চলে যাওয়ার পর হাবিবের লোকজন বেলালকে বেধড়ক মারধর করে। বেলালকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরাও মারধরের শিকার হন। পরে হাবিবের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলীগের নেতাদের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ্বাসের আঙুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যুবলীগ সভাপতি মনাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করা হয় এবং আরো দুজনকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়। দুপুরেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে রূপসা থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এসএম হাবিবুর রহমানসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।