বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে বসবাস করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য নাগরিক। এমনকি অনেকেই দেশটিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে আগ্রহী। তবে সম্প্রতি দেশটি দক্ষ ব্যক্টিদের জন্য প্রদান করছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এমনকি দিচ্ছে নাগরিক্ত। এরই সুবাধে এবার দেশটিতে নাগরিক্ত পেলেন বাংলাদেশী মুকতার আলিম।
পবিত্র কাবা’র গিলাফের (কিসওয়াহ) ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মুকতার আলিম সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বাদশাহ’র এক রাজকীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। প্রথম দিন পাঁচ বিদেশি নাগরিককে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। প্রথম দিন নাগরিকত্ব পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- ইতিহাসবিদ ড. আমিন সিদো, ড. আবদুল করিম আল সামমাক, প্রখ্যাত গবেষক ড. মুহাম্মদ আল বাকাই ও প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী সামান আল আনি। সৌদি গেজেট জানায়, বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের সৌদি আরবে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণার পর প্রথম দিনে নাগরিকত্ব লাভ করেন মুকতার আলিম।
এই বাংলাদেশি প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে মক্কার পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও ফোরামে তার প্রধান ক্যালিগ্রাফিগুলো প্রদর্শিত হয়েছে। ক্যালিগ্রাফি দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পাঠদান করেন। মক্কার দ্য ইনস্টিটিউট অব হলি মস্ক তথা পবিত্র মসজিদুল হারাম পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ক তার পাঠ শেখানো হচ্ছে। মুকতার আলিম মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে পিএইচডি গবেষণারত। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সার্টিফিকেটের ক্যালিগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশীদের ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুকতার আলিম। তার বাবা মুফিজুর রহমান বিন ইসমাঈল শিকদার। মা শিরিন বেগম। মুকতারেরা চার ভাই ও এক বোন। বর্তমানে মুকতার তার মা, স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে পবিত্র নগরী মক্কায় আছেন।
সম্প্রতি দেশিটর ঘোষনা করা তথ্য মতে ‘ভিশন-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং চিকিৎসক, বিনিয়োগকারী, প্রযুক্তিবিদ ও ক্রীড়াবিদসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। ইতিমধ্যে অনেকেই এই নাগরিক্ত পেয়েছে।