অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে দেশের ১৪টি ব্যাংকের মূলধন সংকট দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তিন মাস আগে এই ঘাটতি ছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
তিন মাসের ব্যবধানে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৩ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। জুন শেষে মূলধন ঘাটতি ছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত সময়ে মূলধন ঘাটতিতে ভুগছে এমন ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী, বেসিক, জনতা, রূপালী ব্যাংক, বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল, সিটিজেন, আইসিবি ইসলামী, ন্যাশনাল ও পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশী খাতের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বা রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেটের ১০ শতাংশ বা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা আছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী যেসব ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না, সে ব্যাংকগুলোকে মূলধন ঘাটতিতে থাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উদ্যোক্তাদের অর্থ এবং মুনাফা থেকে মূলধন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলির বিধান রয়েছে। মূলধনের ঘাটতি ব্যাংকগুলো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৪ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ২ হাজার ১২২ কোটি।
রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে ১৫,৮০৪ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে ২,৪৭২ কোটি টাকা।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৭১ কোটি টাকা, সিটিজেন ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। সাবেক কৃষক বা বর্তমান পদ্মা ব্যাংকের ঘাটতি ৬০৮ কোটি টাকা।
আর বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঘাটতি ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।