Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আরও এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ফখরুল-খসরুকে

আরও এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ফখরুল-খসরুকে

নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে তাদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়।

১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা তাদের গ্রেপ্তারের ১০ দিনের জন্য আবেদন করেন। সোমবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, জাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। উল্লেখিত আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন।

এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামিকে (মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু) গ্রেপ্তার করে  পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এদিকে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে জারি করা রুলের ওপর শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ২ নভেম্বর তার জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

আবেদনের পর আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের শুনানি স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। এরপর আদালত জামিনের শুনানি স্থগিত করে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন শুনানি শেষে ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর ৫ ডিসেম্বর উভয় আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়। ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৭ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।  বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।

অপর একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে গুলশানে তার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর আমির খসরুকে ৩ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হয়।  ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তরিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *