ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উপদেষ্টা ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা এমনকি রাশেদ খান মেনন থেকে শুরু করে হাসানুল হক ইনু পর্যন্ত প্রকাশ্যে নির্লজ্জভাবে বলছেন, তাদের জিতিয়ে সংসদে নিতে হবে। গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের ভিক্ষুক রাজনীতি চলতে পারে না। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে তা হবে এই ভিখারির রাজনীতির কারণে।
রোববার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ভিক্ষা করে লুট করার জন্য যাওয়া, আমরা তাদেরকে জনপ্রতিনিধি বলব কীভাবে! তারা তো নির্বাচিত হচ্ছেন না। এভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিটা বিনষ্ট হয়েছে। এটা পুনরুদ্ধার করতে না পারলে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, কিছু বাঙালির বুকে পাকিস্তানের একটি ডাকটিকিট আটকে আছে। পাকিস্তান ক্রিকেটে হারলে এদেশের অনেকেরই খারাপ লাগে। ইমরান খানের কিছু হলে এদেশের কিছু মানুষের বুকে ব্যথা হয়। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালালেও তাদের কিছুই যায় আসে না।
একাত্তরে পরাজিত শক্তির উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশে ধর্মের নামে কোনো রাজনীতি চলবে না। কিন্তু পঁচাত্তরে পাকিস্তানের চর জিয়া ও মোশতাকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে অর্থ্যাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে তারা ধর্মান্ধদের আবার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ আমরা ধর্মান্ধ একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির ও তাদের দোসরদের আস্ফালন দেখে সত্যি সত্যিই শঙ্কিত।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান বলেন, জিয়াউর রহমান যখন প্রথম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে বক্তৃতা দেন, তখন তিনি সেখানে যেতে চাননি। বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাশেম সন্দীপ, ফারুকসহ ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। কালুরঘাটে বেলাল মোহাম্মদ ও আবুল কাশেম সন্দ্বীপ যা লিখে দিয়েছিল সেটাই জিয়াউর রহমান শুধু পাঠ করেছিলেন, এর থেকে বেশি কিছু নয়। শুধু তাই নয়, তিনি তখনও পাকিস্তানি সৈনিক ছিলেন। জিয়া মূলত এসব ঘোষণা দেওয়ার জন্য পরিচিত। সে অনেক আগেই পাকিস্তানে এজেন্ট ছিল।