নুরুল ইসলাম সুজন যিনি রেলপথমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে সেটা ঠিক আছে কিন্তু তা সত্বেও ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করার কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে। তিনি বলেছেন, রেল কোনো বানিজ্যিক দিক কখনও চিন্তা করেন না, এটা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রেল পরিবহনের মাধ্যমে শুধুমাত্র জনগণের সেবা করার দিকটা দেখা হয়। রেলওয়ের সকল ধরনের উন্নয়নের ঘটানোর মাধ্যমে জনগণকে সহজ ও আরামদায়ক সেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ (শনিবার) অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর কমলাপুর রেলস্টেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে স্টপওভার (যাত্রাবিরতি) পুনরায় চালু করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় রেলমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ পুনরায় চালু করেন।
দীর্ঘ প্রায় আটমাস পরে যাত্রা বিরতি চালু করে রেলমন্ত্রী বলেন, পূর্বে যেভাবে যাত্রাবিরতি ছিল আজ থেকে একইভাবে যাত্রাবিরতি করবে। স্টেশনে ১৪টি আন্তঃনগর, আটটি মেইল এবং চারটি কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা বাংলাদেশ চায় না- তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় ট্রেনে ঢিল ছোড়া রোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গেল ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আসেন সেটার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রথম দিনে রেলস্টেশন এবং সেই সাথে বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায় হেফাজতের কর্মীরা। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও কন্ট্রোল রুমসহ অন্য বেশ কয়েকটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করে। যার কারনে সিগন্যালিং সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার কারণে ২৬ মার্চ হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল স্থগিত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।