অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা) দুই সপ্তাহের মধ্যে ২৫ পয়সা কমিয়ে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের নতুন হার নির্ধারণ করেছে।
এর ফলে সব উৎস থেকে ডলার কিনতে (সেবাখাতসহ সব ধরনের রপ্তানি আয়, বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্স, আন্তঃব্যাংকে কেনা) ডলারের বিনিময় হার হবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
আর বিক্রির ক্ষেত্রে (আমদানি, আন্তঃব্যাংক, বিদেশে রেমিট্যান্স) ডলারের বিনিময় হার হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।
গত ২ ডিসেম্বর থেকে ক্রয় পর্যায়ে ডলারের দাম ছিল ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা; বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।
বুধবার রাতে অনলাইন বৈঠকে ডলারের নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফেডার নির্বাহী সচিব আবুল হাসেম।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন হার আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। আজই ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।”
এ নিয়ে এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের দর কমল মোট এক টাকা। গত ২২ নভেম্বর প্রথমবার ৫০ পয়সা, তারপর ২৯ নভেম্বর ২৫ পয়সা দর কমানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বিতীয় ধাপের ঋণ অনুমোদন হওয়ায় ডলারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে যে চলতি বছরের কিস্তির ১.৩১ বিলিয়ন ডলার চলতি ডিসেম্বরে রিজার্ভে যোগ হবে।
অন্যদিকে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) আমদানি ঋণের জন্য বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে।
নতুন করে আসা ডলার ও দায় পরিশোধের পর রিজার্ভের অবস্থা কী হবে তা বলতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে বাংলাদেশের ওপর চাপ কমতে শুরু করেছে। আমরা একটা বার্তা দিতে চাই যে টাকা স্থিতীশীল হচ্ছে।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের বিনিময় হার বাজারে ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করেই সময়ে সময়ে দর র্নিধারণ করে আসছে বাফেদা ও এবিবি।