শরণার্থী ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইউরোপের দেশ বেলারুশের সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বেলারুশ ইউরোপে যে গ্যাস সরবরাহ করতো সেটা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে হুমকি প্রদান করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা বিশ্বের যু'[/দ্ধবি’ধ্ব/’স্ত দেশগুলি হতে পা’লিয়ে আসা যে সকল শরণার্থী রয়েছে তাদের মধ্য থেকে যারা বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মিনস্ক সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপের অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উত্সাহিত করছে। এমন ধরনের পরিস্থিতির আলোকে বেলারুশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
জবাবে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো যিনি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, “যদি তারা (ইউরোপ) আমাদের ওপর আরো কোনো ধরনের নিষে’ধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে আমরা আর বসে থাকব না, তার সমুচিত জবাব দেব।”
তিনি বলেন, আমরা ইউরোপকে দমিয়ে রাখি, এখন তারাই আমাদেরকে ধমকি দিচ্ছে। এখন আমরা যদি প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিই? সেজন্যই পোল্যান্ড, লিথুনিয়ার নেতা ও অন্যান্য নির্বোধদের বলতে চাই- ভেবে তারপর কথা বলবে।
বেলারুশ সীমান্তে গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতের মধ্যে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশী খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। তীব্র শীতে ইতিমধ্যে কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী প্রয়াত হয়েছেন। তারা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কে’টে পোল্যান্ড হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করতে চায়।
তাদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য মিনস্ককে দায়ী করছে। ইউরোপ এর পূর্বে বেশ কিছু কারণে বেলারুশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং সেই সাথে বেশ কিছু বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন সীমান্ত উদ্বাস্তু ইস্যু নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ভাবছে দেশটি।