মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যারা রাস্তায় নেমে বলছে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তারাই আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন এ মন্তব্য করেন।
পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছেন তারা অনেক কিছুই বলতে পারেন, এটা ঠিক নয়। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী, প্রতিটি মানুষের জীবন ও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আমি একজন পুলিশ কিন্তু আমি প্রথমে একজন মানুষ। আমারও অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই?’
হারুন বলেন, যে পুলিশ জনগণের পুলিশ, যারা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদের তথাকথিত রাজনীতির নামে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তপাত, সেসব ছবি সবার সঙ্গে। এমনকি পুলিশ হাসপাতাল ভাংচুর ও অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে? আমরা কার কাছে বিচার চাইব?
ডিবি প্রধান অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। যে দল বা গোষ্ঠী এটি করেছে তা জাতিসংঘের সমস্ত অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগেও বিএনপি নানা কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল। ২৮ অক্টোবরের পর তারা যখন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় তখন তারা যুবদল, ছাত্রদলকে আটটি গ্রুপে বিভক্ত করে।
হারুন অর রশিদ বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতারা পুলিশকে মারধর ও পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে। কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না, তারা হাসপাতালে হামলা চালায়। শুধু হাসপাতালেই হামলা হয়নি, অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেককে আমরা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করেছি।