জেলার মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নৌকার লোকেরা পালানোর জায়গা পাবে না। বর্তমান এমপি হিরুর লোকজনের দৌড়ানোর জায়গা পাবে না। মাধবদী মেয়রের বক্তব্যের পর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে গণজাগরণ দেখা দিয়েছে। এই জাগরণ আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। এরই মধ্যে মাঠে নেমে গেছেন মাধবদীর মেয়র মোশাররফ। তাই এখানে কামরুল ছাড়া আর কিছু থাকবে না। আগামীকাল থেকে মাধবদী থানার ৫টি ইউনিয়নে আমরাও একজন কামরুল ভাই হয়ে মাঠে নামব ইনশাআল্লাহ। যত রকমের প্রপাগান্ডা ছড়াক নৌকাওয়ালারা পালানোর সুযোগ পাবে না।
বুধবার বিকেলে মাধবদী টাউন হল রুমে নরসিংদী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলকে বিজয়ী করতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, হীরুরাও পালানোর সুযোগ পাবে না।
এদিকে সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতীকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে নরসিংদী-১ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মারধরের হুমকি দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের আরেক নেতার অশোভন মন্তব্যের পর দলের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
এ সময় নরসিংদী সদর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক মাহমুদুল কবীর সাহীদ এবং মাধবদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক ও নরসিংদী পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জিবে কামড় দিয়ে ফেলেন।
মাধবদী টাউন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি। তাই নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ নেই। নৌকার লোকেরা পালানোর জায়গা পাবে না বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কখন এ কথা বলেছে তা আমি শুনিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলেও নৌকার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
সাবেক ছাত্রনেতা ও নৌকা প্রতীকের সমর্থক নজরুল ইসলাম এমপির সমর্থক এস এম কাইয়ুম ফেসবুকে লিখেছেন, নৌকার মানুষ পালানোর জায়গা না পেলে খুব সুবিধা হবে বলে মনে করেন? দলের দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে কথা বলার সুযোগ আছে? এ কথাটা তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা।
বক্তৃতার বিষয়ে জানতে সিরাজুল ইসলাম ব্যবহৃত নম্বরটিতে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।