Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ২ হাজার টাকায় ২০ বিঘা জমি কিনেছেন আ.লীগ প্রার্থী মকবুল হোসেন

২ হাজার টাকায় ২০ বিঘা জমি কিনেছেন আ.লীগ প্রার্থী মকবুল হোসেন

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মকবুল হোসেন মাত্র দুই হাজার টাকায় ২০ বিঘা জমি কিনেছেন। বিঘা প্রতি ১০০ টাকায় জমি কিনেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন স্থাবর সম্পত্তির কক্ষে এ তথ্য দেন।

হলফনামা থেকে জানা যায়, হলফনামায় তিনি সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭১০ টাকা।

এর মধ্যে আয় দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৮ হাজার এবং স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ২০০ টাকা। স্ত্রীর নামে ১.৯০ একর জমির স্থাবর সম্পত্তি, ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং বাড়ির মূল্য ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। একই সঙ্গে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্ত্রীর নামে ১৫ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ।
হলফনামায় তিনবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন উল্লেখ করেন, কৃষি খাত থেকে বছরে আয় ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে আয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫১০ টাকা এবং জমি লিজ থেকে বছরে দেড় লাখ টাকা পান।  সংসদ সদস্য হিসেবে পেয়েছেন ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যাংকে নগদ ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য যানবাহন। তার নিজের প্রাইভেটকার পেয়েছে ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া আরও দুই লাখ তিন হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে।

হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস এবং জোতদার হিসেবে পেশা উল্লেখ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা নেই।

প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, গত নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি পূরণ করেছেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পাবনা জেলা শাখার সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০০ টাকা বিঘা জমি এখন অবিশ্বাস্য। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এই ২০ বিঘা জমিটি ১৯৭২ সালে কিনেছিলাম। তখন ছিল ১০০ টাকা বিঘা। এরপর থেকে আয়কর ফাইলে এ জমির মূল্য অনুযায়ী তথ্য দিয়েছি।


পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আয়কর ফাইলে দেখানো মূল্য তিনি হয়তো দিয়েছেন। বর্তমান দাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *