মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। সোমবার ভারতের চেন্নাইতে ঘূর্ণিঝড় মিঘামের প্রভাব কমে গেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাইয়ে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়। বর্তমানে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের মধ্য উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ বুধবার ভারতের আবহাওয়া দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়াও, চেন্নাই পুলিশ অবিরাম বৃষ্টির কারণে বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আরও বলেছে যে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের কেন্দ্রীয় উপকূলে গভীর নিম্নচাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এটি বর্তমানে বাপটলার প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মাম থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। এটি দুর্বল হয়ে পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর আগামী ছয় ঘণ্টায় এর প্রভাব আরও কমবে।
ঝড়-জনিত বৃষ্টি এবং বৃষ্টি-পরবর্তী বন্যা অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী চেন্নাইকে স্থবির করে দিয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ১০টি রিপোর্ট পুলিশের কাছে এসেছে। তাদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলেছিলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় তামিলনাড়ু সরকার ২০১৫ সালের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত। সেই সময়ে অবিরাম বর্ষণে চেন্নাইতে বন্যা হয়েছিল, যার ফলে প্রচুর জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই দিনে আমাদের এখানে ৩৩ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা ২০১৫ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে সরকার এবার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভালোভাবে প্রস্তুত ছিল। বহু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে ৪১১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। এছাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।