দেশে হঠাৎ করে বেশ কিছু নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্য এবং জ্বালানি তেলের দমা বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি অনেকেই এই দাম বৃদজিকে ঘিরে সরকারের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এই উর্ধ্বমূখী দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমাও, দ্রব্যমূল্য কমাও— ইত্যাদি ইত্যাদি অনুরোধ করতে চাই না। কারণ আবারও বলছি— এটা একটা সি/ন্ডি/কেট। মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক নেতার নামধারি সরকারি চামচারা যারা অনেক টাকা কামিয়েছেন, তারা এই কাজ করছে।’ মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘তেল, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সরকারি ছলচাতুরি ও দুঃশাসনের প্রেক্ষিতে’ এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন। দেশের কিছু লু/টে/রা ব্যবসায়ীরা সরকারের যোগসাজশে সব সময় জনগণের পকেট কেটেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের কিছু যায় আসে না। যখন সরকারি মূল্যবোধ শেষ হয়ে, ক্ষমতায় থাকাকে সমস্ত লক্ষ্য মনে করে তখন মানুষের বিষয় তার কাছে মূল্য থাকবে কী করে।’ এভাবে জ্বালানি তেলের বাড়ানো অযৌক্তিক উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, ‘একটা উপায় হতে পারতো, আপাতত আমরা ভুর্তুকি দিয়ে দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানির যে সংকট সেটা আমরা সমন্বয় করতে পারতাম। আগেও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর ভাড়া বেড়েছিল, বাস সিএনজিতে চলে এই যুক্তিতে। একইভাবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটে আইন মানেননি অভিযোগ তিনি বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়নের একটা আইন আছে। একটা নোটিশ দিবেন যাতে জনগনের দুর্ভোগ না বাড়ে, সরকার প্রতিকার করবে। এরকম কিছুই করেনি। ভারতে জ্বালানির দাম কমে, আমরা বাড়াই; এগুলো জবাবদিহিতার কোনও প্রশ্ন নাই। তাই যাই ইচ্ছে তাই করছে। আমরা এই ব্যাপারে আরও সতর্কতার কথা বলছি, জনগণ আরও বিপদে পড়ছে। এমনিতেই মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই।’ দেশবাসীকে উদ্দেশ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, এমন সরকার ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর পর্যায়ে চলে যাবে। এমন লু/টে/রা একটি সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য শপথ এবং চেষ্টা করাই হোক আমাদের যাবতীয় ক্ষো/ভে/র সবচেয়ে কার্যকর বহিঃপ্রকাশ।
এমনিতেই এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল সহ সুশীল সমাজের অনেকেই এই সরকারের নানা ধরনের অন্যায় কর্মকান্ড তুল ধরছে প্রায় সময়। এবং তাদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য শপথও নিয়েছে দেশের অনেক রাজনীতিবীদ।