বিএনপি ও সমমনা ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কত দল অংশ নিয়েছে সে বিষয়ে তিন ধরনের তথ্য দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ৩০টি দলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু সেটা ছিল তাৎক্ষণিক হিসাব। পরদিন শুক্রবার সারাদেশ থেকে তথ্য সমন্বয় করে ইসি জানায়, ৩২টি দল নির্বাচনে এসেছে। গত শনিবার এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৯টিই ভোট দিতে এসেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলেও ইসির তালিকায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মই) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নাম ছিল। এর বাইরে বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপ নামের একটি অনিবন্ধিত দলের নামও ছিল ইসির তালিকায়।
ইসি জানায়, মাঠ থেকে পাঠানো তথ্যে ভুলভাবে তিনটি দলের নাম গণমাধ্যমে এসেছে। এদিকে দলের পাশাপাশি আরও তথ্য এসেছে মনোনয়নপত্রের সংখ্যা নিয়ে। বৃহস্পতিবার জানানো হয়, সারাদেশে ২ হাজার ৪৪১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। পরদিন ঘোষণা করা হয় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭১৩ জন। তৃতীয় দিনে এই সংখ্যা এক কম বলে জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমাদের কাছে তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৭১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। আর ২৯টি দল অংশ নিয়েছে। দল ও প্রার্থীর সংখ্যায় গড়বড়ের ব্যাখ্যা দিয়ে অশোক দেবনাথ বলেন, মাঠপর্যায়ের পাঠানোর তথ্যে করণিক ত্রুটির কারণে সংখ্যা এদিক-ওদিক হয়। ৭ই জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার বিকালে।
আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিলেও নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলমের দেওয়া তথ্যমতে, মেহেরপুর-১, জামালপুর-৫, ময়মনসিংহ-৩, মানিকগঞ্জ-২ ও চট্টগ্রাম-৪ এই পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের নামে দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ২ জন। এদিকে শাহজাহান ওমরের কাছে নৌকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ আসনে এর আগে মনোনয়ন পাওয়া বজলুল হক হারুন নৌকা চেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জাতীয় পার্টি এবার ২৮৮ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬টি আসনে দুই প্রার্থী জমা দিয়েছেন। এই দলের জন্যও ৩০৪টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী দিয়েছে জাকেরের দল। তারা ২১৮টি আসনে মনোনয়ন দিতে সক্ষম হয়েছে। নতুন নিবন্ধিত দল তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। সদ্য নিবন্ধিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ৫৫ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা মার্কা) ৮২ জন প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়।