দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট নিয়ে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি।
তবে আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে ব্যারিস্টার ওমর কারাগারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার কয়েকদিন আগে কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকার সময় সকালের নাস্তা করার পর আমি (শাহজাহান ওমর) সবাইকে বলেছিলাম, এবার নির্বাচনে যেতে হবে। পরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ, নির্বাচনে যেতে পারি। তবে শর্ত রয়েছে ৩টি। প্রথমটি হলো ম্যাডাম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া। দ্বিতীয়ত, সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শেষ শর্ত হলো সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এমন আলোচনা চলছিল আমাদের মধ্যে। ঠিক তখনই কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের কয়েকজনকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠায়।
তখন আমি ভেবেছিলাম মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের সঙ্গে সরকার অন্য কারাগারে নিয়ে সংলাপের আয়োজন করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এর আগে ৪ নভেম্বর রাতে শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বুধবার বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান শাহজাহান ওমর। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।ঢাকা থেকে অনলাইনে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার দাবি, স্বেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে গেছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে যাচ্ছে না, আমি কী করব? এ স্বতন্ত্রে যাব কেন? স্বতন্ত্র হওয়া মানে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা। যেহেতু বিএনপি (নির্বাচন) করছে না। আর যেখানে আমার বিকল্প আছে, আমি একা কেন যাব, , নাচতে নামছি যখন, ঘোমটা দিলে হবে নাকি?স্বতন্ত্র বলতে কোনো জিনিস আছে নাকি? স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ নেব কেন, যখন বেটার অপশন আছে।’
এদিকে ব্যারিস্টার ওমরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।