ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অবস্থা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, সরকার সব খেয়ে খালি করে দিয়েছে, শুধু খোসা পড়ে আছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংক, শিক্ষা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মানুষের ধ’র্মীয় মূল্যবোধর মতো বিষয়গুলোকে ধ্বং’/স করায় ম’ত্ত রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বা’হি’/নী, সচিবালয় সর্বত্র দলীয়করণ করার মাধ্যমে সকল স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বং’/সের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে নির্বাচন করার মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে স’/হিং’সতা ছড়িয়ে দিয়েছে।
তেল-গ্যাসের বাড়তি মূল্য প্র’ত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবা’দে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকার কারণেই কোন ধরনের সমন্বয় না করে তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অথচ গত ৭ বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম থাকলেও সরকার দাম না কমিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করছে, যা দিয়ে অন্তত ৬ মাস ভর্তুকি দেওয়া যায়। কিন্তু সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা লো’পাট করতেই এই দাম বাড়িয়েছে। যার ভু’ক্তভো’/গী জনগণ। তেল-গ্যাসের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো না হলে জনগণকে নিয়ে পরবর্তীতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আগামীতে দেশের জনগণকে নিয়ে সরকার গঠন করতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, যুবকেরা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সরকার কখনোই এই তরুণদের দ’/মন করতে পারেনি।
আজ কেন তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে? নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে কেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম? কারণ বাজার যাচ্ছে তাইভাবে চলছে যেটার ওপর সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনের কথা বললেও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সব দিকে ক’ড়া নিয়েমের কথা বললেও জনগনের টাকা যেখানে ব্যয় করে জীবন চলে সেখানে কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। এই অবৈধ, জবাবদিহিতাহীন, ভোট কারচু’পির সরকার কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জনগণকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে এই ধরনের অবৈধ সরকার বেশিদিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাই জনগণের অধিকার আদায়ে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।