দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। চট্টগ্রাম রিটার্নিং অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় ৭৪ লাখ ১২ হাজার ৯৭ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৮৩ হাজার, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৯ টাকা, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা, চাকরি থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫০ হাজার ৪১৮ টাকা আয় করেছেন। . .
হলফনামায় ভূমিমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবিএ উল্লেখ করা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর কাছে বর্তমানে নগদ ব্যালেন্স রয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার ২৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৮১ টাকা। ভূমিমন্ত্রীর কাছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে এবং তার স্ত্রীর কাছে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার রয়েছে। কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ১০০ টাকা। ভূমিমন্ত্রীর কাছে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকার গাড়ি, ৩০ হাজার টাকার অলংকার, ২০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ৩৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৪ টাকার অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।
জানা গেছে, এ আসন থেকে ভূমিমন্ত্রী ছাড়াও আরও ৬ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টি থেকে আবদুর রব চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট থেকে মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে। আরিফ মঈনুদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে মৌলভী রশিদুল হক ও তৃণমূল বিএনপি থেকে মকবুল আহমদ চৌধুরী।
জেলা রিটার্নিং অফিসার আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান জানান, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ১৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
2018 সালের 30 ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার 90 দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।