নাজলা মাঙ্গুশ যিনি লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাকে তার মন্ত্রীত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির কাউন্সিল। দেশটির কাউন্সিলের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি সমন্বয় ঘটাতে পারেননি তিনি যার কারনে গত শনিবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কাউন্সিল।
লিবিয়ান কাউন্সিলের জারি করা একটি ডিক্রি অনুযায়ী, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছনে এমন তিন সদস্যের সংস্থা সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশকে বরখাস্ত করেছে। এছাড়া পররাষ্ট্রনীতিতে একচেটিয়া আধিপত্যের অভিযোগ এনে তদন্ত করার স্বার্থে তার বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নায়লা ওয়েইহেবা যিনি প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের মুখপাত্র তিনি বলেছেন, নাজলা আল-মঙ্গোসের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক নিয়ম ল’/ঙ্ঘ’নের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
লিবিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এমাদেদিন বাদি বলেছেন, সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের কিছু কথার জন্য নাজলা মঙ্গুশের বিরু’দ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানগোস ওই সাক্ষাৎকারে ১৯৮৮ সালের লকারবি বি’/স্ফো’/’রণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে লিবিয়ার রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিদ্যমান উ’/ত্তেজনাও এর কারণ।
তবে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গতকাল রবিবার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির সরকারের ফে’সবুক পেজে জা’রি করা বিবৃতিতে মন্ত্রীর প্রশংসা করে বলা হয়েছে, নাজলা মঙ্গুশ তার দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে পালন করবেন। আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পরিষদের নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সদস্যদের নিয়োগ বা বাতিল ও তাদের বিষয়ে তদন্ত করার কোন আইনি অধিকার নেই। এই ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর।
আগামী শুক্রবার ফ্রান্সে লিবিয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অনেকের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। যু’/’দ্ধবি’ধ্ব’/স্ত লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন করে চেষ্টা চালাতে আহূত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কয়েক দিন আগে নাজলা মঙ্গুশকে বরখাস্তের ঘটনাটি ঘটল।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ধরনের বিরোধ লিবিয়ায় নতুন নয়। দেশটির দুটি প্রতিযোগী সংসদ রয়েছে এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে গভীরভাবে বিভক্ত। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা। লিবিয়ার সরকার বলেছে যে রাষ্ট্রপতি পরিষদের একজন মন্ত্রীকে স্থগিত বা তদন্ত করার কোন আইনি ক্ষমতা নেই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন এবং প্যারিস সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নাজলা মোহাম্মদ এল মাঙ্গুশ একজন লিবিয়ার কূটনীতিক এবং আইনজীবী। তিনি ১৫ মার্চ ২০২১ সাল থেকে আবদুল হামিদ ডিবেইবেহের সরকারে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। নাজলা এল মাঙ্গৌশ লিবিয়ার প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেইসাথে আরব বিশ্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত পঞ্চম মহিলা।