বর্তমান সময়ে ই-কমার্সের জয়জয়কার চারিদিকে, অনেকেই তাদের কেনাকাটা সম্পন্ন করেন এক ক্লিকে। তবে অনেকের কেনাকাটা করা একটা ভী’ষন ধরনের বাতিক রয়েছে, তারা অনলাইনে কেনাকাটা এতটাই পছন্দ করেন যে একটু ভালো লাগলেই নিজেকে সামলাতে পারেন না ক্লিক করে করে ফেলেন অর্ডার। অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও শেষ হয়ে যায় মাসের খরচের তহবিলটাও। শেষ পর্যন্ত হাতে কোনো টাকা থাকে না, সঞ্চয়ের স্থানটা থাকে ফাকা।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জেমা জর্ডান অনলাইন শপিংয়ের খুব ভালো একজন ভক্ত ছিলেন। তার সম্পর্কে অনেক দূরদুরান্তের লোকও জানতে পারলো। আর এই কেনাকাটার উ’ন্মাদনার কারণেই তিনি ঋণে ডুবে যাচ্ছিলেন। তিনি ১৭,০০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ লাখ টাকারও বেশি) ধার করে ফেলেছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের একটি প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ পায়।
তবে এক সময় দুই সন্তানের মা জেমা ভাবলেন এই কেনাকাটার বাতিক তার শুধু ক্ষতিই করছে। তাই এই বদ অভ্যাসের রাশ টেনে ধরতে চাইলেন তিনি।
৪০ বছরের জেমা নিজের খরচ কম করার জন্য একটি মানি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করেন। আর সেই অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতি মাসে কী পরিমাণ অপ্রয়োজনীয় খরচ করতেন৷ তিনি এই অপ্রয়োজনীয় খরচ অনলাইন শপিংয়ে করতেন৷ তিনি এক বছর অ্যামাজনে কেনাকাটা বন্ধ করে এক বছরের মধ্যে ১৭,০০০ হাজার পাউন্ডের ঋণ মিটিয়ে ফেলেন৷
প্রতিবেদনে বলা হয়, তার কেনাকাটার যে নেশা সেটার বিষয়ে জানার পর তিনি অ্যামাজন থেকে তার সকল ধরনের কেনাকাটাও বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে তিনি প্রায় ৬ মাস ধরে অনলাইনে কোনো কিছু আর অর্ডারই করেননি। সিদ্ধান্ত নেন ফুড শপ থেকেও কোনো বাড়তি খাবার কিনবেন না। তার এই ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনে তার জমাকৃত অর্থ দিয়ে ১১ মাসে ১৭,০০০ পাউন্ডের ঋণ পরিশোধ করে দেন।