করোনা সংক্রমনের ফলে দীর্ঘ এক বছরেরও অধিক সময় পর চলতি বছরের গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর এরই মধ্যে আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীদের। আর তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসবাসরত এসএসসি পরীক্ষার্থী কাজী মনিরুজ্জামান রুপক (১৮)। খবর পাওয়া যায়, পরীক্ষা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। তবে শেষমেষ দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পেয়ে মৃত্যুর পথ বেঁচে নিয়েছে রুপক।
রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই এলাকার কাজীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্র পৌর শহরের কমলপুর এলাকার ব্যবসায়ী কাজী মো. মানিক মিয়ার ছেলে কাজী মনিরুজ্জামান রুপক (১৮)। তিনি স্থানীয় কমলপুর জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠে সে তার রুম থেকে আর বের হয়নি। এ সময় পরিবারের লোকজন ভাবছিলেন সে ঘুমাচ্ছে। পরে বিকেলেও তাকে বের হতে না দেখে পরিবারের সদস্যরা কক্ষের জানালা ভেঙে ফেলেন। তারা রুপককে রশিতে ঝুলতে দেখেন। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বড় ভাই রুপম বলেন, আমার ছোট ভাই এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী দিত। সে ছাত্র হিসেবে তেমন ভালো ছিল না। ভেবেছিল এ বছর সরকার অটোপাস দেবে। তবে আগামী ১৪ তারিখ তিন বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষা হবে শুনে সে চিন্তায় ছিল।
তিনি আরও বলেন, নিজের মেধা নিয়ে সে পাস করতে পারবে কিনা। ফেল করলে লোকজনে কী বলবে। সবসময় এসব চিন্তা করত। এ কারণেই আমার ভাই শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন নিজেই শেষ করে বসেছে।
এদিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত হোক এমনটা চাননি নিহতের পরিবার, আর তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃ্তদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।