বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যারা বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যায় তার একটি বড় অংশ গিয়ে থাকে সৌদি আরব। কিন্তু এবার সেই দেশটিতে প্রবাসীদের নিয়ে পাওয়া গেল দু:সংবাদ। গেল এক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে অবৈধ রয়েছেন এমন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১৫,৩৯৯ জনকে আট’ক করেছে বলে জানা গেছে। আজ (রবিবার) অর্থাৎ ৮ নভেম্বর সৌদি গেজেট নামক একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে, এই অভিযানটি গেল ২৮ অক্টোবর হতে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়। যে সকল অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আবাসন ও শ্রম আইন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নীতি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছে কিনা তা জানা যায়নি।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আটক অভিবাসীদের মধ্যে সাত হাজার ২৯২ জনের বিরুদ্ধে আবাসন নীতিমালা ভাঙার অভিযোগ আছে। সীমান্ত সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা ভেঙেছেন ছয় হাজার ৩৭৩। শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এক হাজার ৭৩৪ জন। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় ২৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ নীতিমালা ল’ঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ১৭ জন সৌদি নাগরিককেও আটক করেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে সৌদি আরবে আবাসন নীতিমালা ভাঙার জন্য নজরদারিতে আছে ৮৮ হাজার ২৯ জন। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮৮ জনকে নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে বলা হয়েছে। ১০ হাজার ১৭ জন অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সৌদি সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকে যে সকল সৌদি নাগরিক আশ্রয় প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর হয়েছে। কারন তারাও আবাসান নীতিমালা ল’ঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যারা আবাসন নীতিমালা ল’ঙ্ঘন করেছে এবং অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছে তাদের ১৫ বছরের জেল এবং সেই সাথে ১০ লক্ষ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে এমন বিধান রাখা হয়েছে।