Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার সরকারের দিতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে ৫৮৬ বিশিষ্ট নাগরিক

এবার সরকারের দিতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে ৫৮৬ বিশিষ্ট নাগরিক

চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেশকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে মনে করেন দেশের ৫৮৬ বিশিষ্ট নাগরিক।

তারা অবিলম্বে একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দল-নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সংলাপের মাধ্যমে নতুন তফসিল দেওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হলো জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। জনগণের এই ভোটাধিকার বাস্তবায়নে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ দেশের ৩৬টি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। কিন্তু সরকার তা উপেক্ষা করে আরেকটি ২০১৪ ও ২০১৮ মার্কা নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এর পরিণতি ভালো নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় নির্বাচনকে জনগণের জীবনে উৎসবমুখর করে তোলার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার বিরোধী দল বিএনপিসহ আন্দোলনকারী দলগুলোর সভা-সমাবেশের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে শুধু নিজেদের শিবির ও পছন্দের দলগুলোকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করছে। এক দলের কার্যালয়ের সামনে উৎসবমুখর পরিবেশ আর অন্য দলের কার্যালয়ে তালা ঝুলছে, পুলিশি পাহারার কারণে সেখানে কোনো নেতা-কর্মী প্রবেশ করতে পারছেন না।

এরই মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিদিন রাতে অভিযান চালায়। মনে হচ্ছে গোটা দেশ পুলিশি রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন নতুন কৌশল হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন এমন বিএনপির সম্ভাব্য সব প্রার্থীকে শাস্তি দিতে আদালত ব্যবহার করা হচ্ছে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশন যে পথে হাঁটছে তাতে জনমনে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। এর পরিণতি দেশের জন্য কখনো ভালো হবে বলে মনে করেন না এই বিশিষ্ট নাগরিকরা। সরকার এ পথ পরিহার করে একটি সুষ্ঠু, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- প্রফেসর ড.আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ডা.মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর ড.আফম ইউসুফ হায়দার, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, প্রফেসর আহমেদ কামাল, প্রফেসর ড. তজমেরী এস এ ইসলাম, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই শিকদার, অধ্যাপক ডাঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংবাদিক ডাঃ রেজওয়ান হোসেন সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংবাদিক মোস্তাফা কামাল প্রমুখ। কামাল মজুমদার, প্রফেসর ডা.আব্দুল লতিফ মাসুম, প্রফেসর ডা.খলিলুর রহমান, প্রফেসর ডা.গাজী আব্দুল হক, প্রফেসর ডা.মোশাররফ হোসেন মিয়া, সাংবাদিক এম এ আজিজ, সাংবাদিক এলাহী নেওয়াজ খান, সাংবাদিক মুন্সী আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক মো. এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ আবদুল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগী, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবদুর রশিদ সরকার, সাবেক সচিব বিজন কান্তি সরকার, সাবেক সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ। , প্রফেসর ড.এ কে এম আজিজুল হক, প্রফেসর ড.হারুন আল রশিদ, ড.আব্দুস সালাম, ড.সৈয়দা তাজনীন ওয়ারিশ সিমকি, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, কৃষিবিদ রাশেদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা: মোরশেদ হাসান খান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রফেসর ড.লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড.ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন উজ্জীবিত হোসেন খান, প্রফেসর ড. এবং অন্যra.

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *